বিশ্ব অ্যাজমা দিবস আজ
প্রতি বছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার বিশ্বব্যাপী অ্যাজমা দিবস পালন করা হয়ে থাকে
আজ মঙ্গলবার (৭ মে) বিশ্ব অ্যাজমা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার বিশ্বব্যাপী অ্যাজমা দিবস পালন করা হয়ে থাকে। অ্যাজমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিবস পালন করা হয়।
এ বছর দিবসটির থিম নির্ধারণ করা হয়েছে- Asthma Education Empowers অর্থাৎ অ্যাজমা শিক্ষার ক্ষমতায়ন। এই থিমের মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে- আক্রান্ত ব্যক্তিকে অ্যাজমা সম্পর্কে জানতে হবে। অর্থাৎ এটি কেন হয়? এর চিকিৎসার জন্য কোথায় যেতে হবে, কীভাবে সচেতন হতে হবে এবং কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অ্যামজা রোগীদেরকে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়ে থাকে- এসব জানার মাধ্যমে সে সুস্থতার সাথে জীবনযাপনে সক্ষম হবে।
১৯৯৮ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। রোগীদেরকে অ্যাজমা রোগ সম্পর্কে জানানোই দিবস পালনের মূল লক্ষ্য। সারাবিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি লোক অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্ষব্যাধি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন জানান, অ্যাজমার বেশির ভাগ কারণই অজানা। অনেক ক্ষেত্রেই তা বংশগত অর্থাৎ জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। অ্যাজমা আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট হয়। বুক চেপে আসে। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শ্বাস নিতে গেয়ে শব্দ হয়। এগুলো অ্যাজমার মূল লক্ষণ। এছাড়াও বার্ধক্যজনিত শ্বাসকষ্ট, যা ধূমপানের কারণে হতে পারে। এ থেকে মুক্তির উপায় হলো রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রথমে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
তিনি আরও বলেন, অ্যাজমা রোগী শনাক্তে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এরমধ্যে- স্পাইরোমেট্রি, পিক ফ্লো মিটার, মিথাকলিন চ্যালেঞ্জ টেস্ট, আইজিই পরীক্ষা। তবে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় রোগের ইতিহাসকে। অ্যাজমার ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়। রোগকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তাই চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো অ্যাজমা রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা। সুস্থ জীবনযাপন ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে অ্যাজমা রোগীরাও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা সঠিক চিকিৎসা নিলে অ্যাজমাজনিত কারণে রোগীর মৃত্যুর হার একেবারেই কম।