কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (২ মে) ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস’ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন
তৃণমূল মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সচল করতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।বৃহস্পতিবার (২ মে) ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস’ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যদি সচল থাকে, তাহলে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে অবশ্যই পারবো। মন্ত্রী হওয়ার পর আমি যে কয়েকটা জায়গায় গিয়েছি, প্রত্যেক জায়গায় দেখেছি, সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবদান সবচেয়ে বেশি। আমরা যদি তৃণমূল জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চাই, তাহলে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সচল করতে হবে। তাহলেই আমরা এ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারবো।
স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে এবং তা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি। চিকিৎসকদের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য তাদের ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রিহ্যাবিলিটাইজেশন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ, বাংলাদেশের (আরসিএইচসিআইবি) প্রকল্প পরিচালক ও সাবেক সচিব মাখদুমা নার্গিস বলেন, চিকিৎসকেরা সমাজেরই অংশ। দেশে অবকাঠামোগত দিক থেকে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মনোজাগতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমরা কিছুটা হতাশ হবো। সমাজের দুর্নীতি ও অন্যান্য যেসব ব্যাধি আমাদের আক্রান্ত করছে, এসব আমাদের সামনের যাত্রাকে পেছনে টেনে রাখছে। এগুলোতে যদি আমরা উন্নয়ন করতে না পারি, তাহলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে খুব বেশি দূর এগোতে পারবো না।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী প্রমুখ।