স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-04-01 17:41:34
স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

সোমবার (১ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ফের ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ পাঠিয়ে দেন।

হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও মহামারি করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে ছিল। মামলার আদেশে অভিযোগপত্র গৃহীত না লেখা থাকায়, আসামিপক্ষ অভিযোগ গৃহীতের জন্য আবেদন করেন। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম মামলাটি মহানগর আদালতে বদলির আদেশ দেন।

এ মামলার অভিযোগপত্রে উল্লিখিত অন্য আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এ মামলা করেন।

২০২১ সালেরর ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র আমলে নেন।

হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলায় স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা না হলেও পরে তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে পরিবর্তন, সমঝোতা স্মারক সই ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করা হয়। ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় রোগীপ্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে, মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠে।

আসামিদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়ারও অভিযোগ আনা হয়।


আরও দেখুন: