প্যাথলজির ভুল রিপোর্টের কারণেও রোগী মারা যায়: বিএসএমএমইউ ভিসি
বিএসএমএমইউয়ে জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে ‘ট্রেনিং অফ প্যাথলজিস্ট অন সারভাইক্যাল ক্যান্সার এন্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার রিলেটেড প্যাথলজি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
প্যাথলজির ভুল রিপোর্টের কারণেও রোগী মারা যায় বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তাঁর ভাষায়, প্যাথলজির সঠিক রিপোর্টে যেমন রোগী সুস্থ হয়, তেমনি ভুল রিপোর্টে রোগী মারা যায়। তাই প্যাথলজির সঠিক রিপোর্ট দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
বিএসএমএমইউয়ে জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে ‘ট্রেনিং অফ প্যাথলজিস্ট অন সারভাইক্যাল ক্যান্সার এন্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার রিলেটেড প্যাথলজি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভিসি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বেসিক সাইন্স ভবনে প্যাথলজি বিভাগ আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করেন বিএসএমএমএমইউর ভিসি। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৭ জন প্যাথজিলস্ট ৭ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমান। সঞ্চালনা করেন প্যাথলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শবনম আক্তার। এছাড়াও প্যাথলোজি বিভাগের সকল স্তরের শিক্ষক, কনসালটেন্ট, চিকিৎসক ও রেসিডেন্ট উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিসি বলেন, সারভাইক্যাল ও ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয়ে প্যাথলজিস্টের ভূমিকা অপরিসীম। এ জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন স্তরের চিকিৎসক অংশ নিচ্ছেন।
বিএসএমএমএমইউ ভিসি বলেন, ব্রেস্ট ক্যান্সার সেলফ এ্যাসেমেন্টে খুব দ্রুত ধরা যায়। এজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে নারীদেরকে বিনামূল্য ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি চালু করেছেন। এতে করে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানান তিনি।