সলিমুল্লাহ মেডিকেলের ৩ কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-03-10 17:10:17
সলিমুল্লাহ মেডিকেলের ৩ কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

দেড় কোটি টাকার মেশিন অকেজো দেখিয়ে লাখ টাকায় বিক্রি ও যন্ত্রপাতি মেরামতের নামে লুটপাটের অভিযোগে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৩ কর্মচারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন। সূত্র: ঢাকা পোস্ট। 

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

অনুমোদিত চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে- স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অফিস সহায়ক মো. মাসুদ রানা (সুমন), অফিস সহায়ক (সাময়িক বরখাস্ত) মোজাফফর হোসেন বাবুল, প্রধান সহকারী আব্দুর রহিম ভূঁইয়া এবং ইউনি হেলথ কেয়ারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার রাজিব।

মামলায় আসামি হলেও চার্জশিটে অব্যাহতি পেয়েছে স্টোরিলাইজার কাম মেকানিক ও ওয়ার্ড মাস্টার মো. বিল্লাল হোসেন। 

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে এম এস আর সামগ্রীর আওতায় ডিজিটাল কালার আল্ট্রাসাউন্ড মেশিন ৪২ লাখ টাকায় ক্রয় করা হয়। চুক্তিপত্র অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়ার্সী সার্জিক্যাল আমেরিকান ব্রান্ডের মেশিন সরবরাহ করে। এর আগে ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকার একই ধরনের মেশিন ও ২০১৩-২০১৪ বছরে চীনা কোম্পানি থেকে আরও একটি মেশিন ক্রয় করা হয়।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ মেশিনগুলো বুঝে নেয়। এরপর সচল মেশিনগুলো মাত্র তিন বছরের মাথায় অস্বাভাবিকভাবে নষ্ট হওয়া শুরু করে। দফায় দফায় সার্ভিসিং করেও যা মেরামত করা যায়নি।

পরে ২০২০ সালে পুরোপুরি নষ্ট (কনডেম) ঘোষণার জন্য রেডিওলোজি এন্ড ইমেজিং বিভাগের আওতায় তালিকা প্রস্তুত করা হয়। যেখানে ওই তিনটি মেশিনসহ ১৩টি আইটেমের ২৭টি মালামাল “অকেজো ঘোষণা ও নিষ্পত্তি করন” কমিটির নিকট প্রেরণ করা হয়।

যে কমিটির অন্যতম সদস্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রধান সহকারী আব্দুল রহিম ভুঁইয়া। ওই তিনটি মেশিনসহ অন্যান্য মালামাল কনডেম ঘোষণার পর তার স্বাক্ষরে তা গ্রহণ করা হয়।

স্টোর রুমের ওয়ার্ড মাস্টার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মো. সাজ্জাদ হোসেন ও স্টোরিলাইজার কাম মেকানিক মো. বিল্লাল হোসেন। সে সময় স্টোর রুম খুলে মেশিন তিনটি ইউনি হেলথ কেয়ারের ইঞ্জিনিয়ার রাজিবের নিকট মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করা হয়।

পরে এটি জানাজানি হলে তিনটি ভিন্ন মেশিন ইঞ্জিনিয়ার রাজিবের নিকট থেকে এনে স্টোর রুমে জমা দেওয়া হয়। রাজিবই আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনগুলোর সার্ভিসিংয়ের মূল দায়িত্ব পালন করছিলেন। অনুসন্ধানকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অফিস সহায়ক মো. মাসুদ রানা (সুমন) ও ইঞ্জিনিয়ার রাজিব দুদকের কাছে দায় স্বীকার করেছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও দেখুন: