স্ট্যান্ট বা হার্টের রিংয়ের দাম বাড়ানো হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব জাহাঙ্গীর আলম। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ের সভাকক্ষে হৃদরোগীদের স্ট্যান্ট নিয়ে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যসচিব বলেন, স্ট্যান্টের দাম আগে যেটা ছিল, সেটাই থাকবে। লাভ করতে গেলে একটা মার্কার প্রাইস দিতে হয়। ব্যবসায়ীদের প্রশাসনিক খরচ, ভ্যাট ও ট্যাক্স মিলিয়ে একটা মার্কার প্রাইস এক দশমিক দুই শতাংশ নির্ধারণ করা আছে। আমদানি মূল্যের সঙ্গে এটা যুক্ত করা আছে। কাজেই স্ট্যান্টের দাম আগে যেটা ছিল, সেটাই থাকবে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করে এই দাম নির্ধারণ হয়েছিল। আমি মনে করি, এতে সরবরাহকারী ও ভোক্তা দুই পক্ষই এতে লাভবান হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসচিব বলেন, সময়ের স্বল্পতায় ওষুধের দাম নিয়ে পুরোপুরি আলোচনা করা সম্ভব হয়নি। তবে স্ট্যান্টের দাম নিয়ে আলোচনা করেছি। এখানে এই খাতের অংশীজনরা ছিলেন। আমরা বলেছি যে, স্ট্যান্টের দামের বিষয়ে সরকার যেমন জনগণের স্বার্থ দেখছে, তেমনই ব্যবসায়ীদের স্বার্থও দেখবে। ব্যবসায়ীরা আইনগতভাবে ব্যবসা করবেন, আবার যারা স্ট্যান্ট ব্যবহার করছেন, তাদের ওপর যাতে বাড়তি কোনো চাপ না পড়ে, অস্বাভাবিক দামে যাতে কিনতে না হয়, সেটাও দেখতে হবে।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ দুটো সমন্বয় করে আজকের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মূলত আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে এই দুটো পণ্য আমদানি করা হয়। বাংলাদেশে আমেরিকা থেকে আসা স্ট্যান্টের ব্যবহার ৭৫ শতাংশ। বাকিটা আসে ইউরোপ থেকে। ইউরোপের পণ্যের ডিস্ট্রিবিউটাররা আজকের বৈঠকে অংশ নেননি। তবে তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলবো।