রাজশাহীর দুই শিশুর মৃত্যু নিয়ে যা জানাল আইইডিসিআর

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-02-18 21:24:51
রাজশাহীর দুই শিশুর মৃত্যু নিয়ে যা জানাল আইইডিসিআর

রাজশাহীতে অজানা ভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী মুনতাহা মারিশা (২) ও মুফতাউল মাশিয়া (৫)

রাজশাহীতে বরই খেয়ে অসুস্থ হয়ে দুদিনের ব্যবধানে দুই সহোদর শিশুর মৃত্যু নিপাহ ভাইরাসে হয়নি বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আইইডিসিআর থেকে দেয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শংকর কে বিশ্বাস।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিপাহ ভাইরাসে নয়, বরং অন্য কোনো অজানা ভাইরাসে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে মারা গেছে- তা নিশ্চিত হতে চিকিৎসকরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে। 

ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, অজানা ভাইরাসে মৃত্যু দুই শিশুর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে নিপাহ ভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অজানা এ ভাইরাস নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে আইইডিসিআর। এরপরই এ ভাইরাস সম্পর্কে জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, দুই শিশুর মৃত্যুর কারণ জানতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ভাইরাসের ধরন অনুযায়ী পরীক্ষা করতে সময় লাগে। তবে ঠিক কী কারণে মারা গেছে তা নিশ্চিত হতে বা ভাইরাস কী ছিল তা নিশ্চিত হতে অন্তত ৭-১৫ দিন সময় লাগতে পারে।

শিশুদের বাবা-মা এখনো আইসোলেশনে থাকবেন। ভাইরাস নিশ্চিত হওয়ার পরই তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান রাজশাহী মেডিকেলের এ চিকিৎসক।

অজানা ভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী মুনতাহা মারিশা (২) ও মুফতাউল মাশিয়া (৫) নামের ওই দুই শিশু রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের মনজুর রহমানের মেয়ে। মনজুর রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তার স্ত্রীর নাম পলি খাতুন। পরিবারের সবাই রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারে বসবাস করতেন।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যায় মনজুরের বড় মেয়ে মাশিয়া। এর আগে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) একই লক্ষণ নিয়ে মারা যায় ছোট মেয়ে মারিশা। পরে শিশুদের বাবা-মা মনজুর ও পলিকে হাসপাতালের নিপাহ আইসোলেশনে নেওয়া হয়। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত না হওয়ায় ঠিক কী ভাইরাসে তারা মারা গেছে তা শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা এখানেই থাকবেন।


আরও দেখুন: