অনিয়ম করে কেউ আর পার পাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-02-17 10:51:54
অনিয়ম করে কেউ আর পার পাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সংলগ্ন বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইউনিয়ন হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন

অনিয়ম এতদিন করা হলেও এখন থেকে আর কেউ পার পাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সংলগ্ন বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইউনিয়ন হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। অভিযানকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। যারা বন্ধ করবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরিদর্শনকালে তিনি ক্লিনিকের ম্যানেজারকে ধূমপানরত অবস্থায় পান, আই সি ইউতে বিশেষজ্ঞের পরিবর্তে সাধারণ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা প্রদান এবং পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে নার্সের বদলে মিডওয়াইফের উপস্থিতি দেখতে পান।

428624559_745025484395117_873230778511581458_n

এছাড়া হাসপাতালটিতে সিটি স্ক্যানের অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও সিটি স্ক্যানের কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

এই বিষয়ে মন্ত্রী তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এছাড়া তিনি কক্সবাজার জেলাসহ সারাদেশের সকল বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী উক্ত বেসরকারী হাসপাতালের আইসিইউ থেকে একজন সংকটাপন্ন রোগীকে তাৎক্ষণিকভাবে কক্সবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেন।

পরবর্তীতে তিনি কক্সবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল অনির্ধারিত ভাবে পরিদর্শন করেন যেটা তার পরদিনের সূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পরিদর্শনকালে তিনি ইমারজেন্সি বিভাগ, মেডিসিন ওয়ার্ড, সিসিইউ, ৬০শয্যা বিশিষ্ট স্ক্যানু ইউনিটের কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বর্তমানে উন্নয়ন সহযোগীদের পরিচালিত স্ক্যানু ইউনিটগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য পরবর্তীতে সকল প্রকার সরকারী সাহায্যের আশ্বাস প্রদান করেন।
হাসপাতালের রোগীদের ঔষধ এর ট্রলি পরীক্ষা করে সকল ঔষধ সরকারী ভাবে সরবরাহ, সকল ল্যাব টেস্টের সুবিধা বিদ্যমান এবং সকল রেডিওলজি পরীক্ষার সুবিধা চালু দেখে মাননীয় মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।  

তিনি বলেন, ‌একটি বেসরকারি বি ক্যাটাগরির হাসপাতালে ডাক্তার নেই, নার্স নেই। ম্যানেজার নিজেই ধূমপান করেন। অথচ সেই হাসপাতালে রোগী এত ভর্তি হলো কী করে- সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। এর সঙ্গে অবৈধভাবে এখানে আইসিইউতে রোগী ভর্তি রাখা হচ্ছে। অথচ আইসিইউর অনুমোদন নেই। আইসিইউ চালানোর জন্য দক্ষ লোকবলও নেই। এসব অনিয়ম এতদিন করা হলেও এখন থেকে আর কেউ পার পাবে না।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসারত গুরুতর অসুস্থ এক রোগীকে দ্রত সময়ে পাশের সরকারি সদর হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা নেন। একইসঙ্গে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফোন করে ওই হাসপাতালে বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

 


আরও দেখুন: