আগে চিকিৎসকদের সুরক্ষার দিকটা দেখবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কক্সবাজারে আয়োজিত মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ অন্যরা
আগে চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারে আয়োজিত মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষদের সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, আমি যদি আপনাদের ভাল রাখতে পারি, আপনারা কিন্তু আমাকে ভাল সার্ভিস দেবেন। আপনাদের যদি মনে কষ্ট থাকে, যদি কোন দুঃখ থাকে, যদি ঠিকমত প্রমোশন, গ্রেডিংস না পান- তাহলে আপনাদের কাছ থেকে আমি ভাল সার্ভিস পাবো না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, আরও বলবো। আমি আগে আমার চিকিৎসকদের মান-মর্যাদাটা আগে দেই। তারপর যদি কেউ ফাঁকি দেয়, কারো গাফিলতিতে কোন রোগীর ক্ষতি হয়, সেটা আমি দেখবো। আমার দায়িত্ব হলো আমার চিকিৎসকদের সঠিক মানমর্যাদা নিশ্চিত করা। আমি যেমন চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করবো, আবার চিকিৎসকদের গাফিলতিও বরদাস্ত করবো না।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, অনেক ডাক্তার বানিয়ে তো লাভ নেই। যে ডাক্তার বানাব, সে যেন ভাল হয়। একটা মেডিকেল কলেজ চালাতে কী দরকার, না দরকার- আমার সব জানা আছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কালকে নেত্রকোনার সংসদ সদস্য আমাকে টেলিফোন করে বললেন, ওখানে কোন রেজিস্ট্রার নাই, অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার নাই। রেজিস্ট্রার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার ছাড়া কিভাবে চলে? ওই ছেলেগুলো নাকি ময়মনসিংহ যায়। আমি পোস্টিং দিলে জেনে-শুনে দেবো। কোন অনিয়ম যাতে না হয়, সেজন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবো। যাকে যেখানে দেওয়া হবে- সে যেন সেখানে গিয়ে কাজ করে। এখন যদি টিচারই না থাকে, এনাটমির টিচার নাই, ফিজিওলজির টিচার নাই।
হাসপাতালের শয্যা বাড়ানো প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংসদে আমাকে প্রশ্ন করা হয়, এখানে-ওখানে ২০ শয্যা, ৫০ শয্যা থেকে বাড়ি ১০০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত করার ব্যাপারে। আমি বলেছি, যেটা আছে, সেটা আগে কার্যকর করেন। জনবল ছাড়া শুধু বিল্ডিং বাড়িয়ে কোন লাভ নেই। এটা তো মানুষকে ধোঁকা দেওয়া, মানুষকে ফাঁকি দেওয়া। কথায় কথায় মেডিকেল কলেজ আর না, আমি মান-সম্মত চিকিৎসক তৈরিতে কাজ করবো। হঠাৎ করেই একটা মেডিকেল কলেজ খুলে ফেলা, আমি সেদিকে যাব না।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিয়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানা।