ব্যয়সাধ্য স্বাস্থ্যসেবা ত্বরান্বিত করতে কাজ করবে ইউএইচসি ফোরাম

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-02-10 21:42:51
ব্যয়সাধ্য স্বাস্থ্যসেবা ত্বরান্বিত করতে কাজ করবে ইউএইচসি ফোরাম

সিরডাপ মিলনায়তনে ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ (ইউএইচসি) ফোরাম বাংলাদেশ এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান

দেশে মানসম্মত ও ব্যয়সাধ্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করতে চাপ প্রয়োগকারী সংস্থা এবং গবেষণাভিত্তিক ফোরাম হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ (ইউএইচসি) ফোরাম বাংলাদেশ।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। গবেষণা সংস্থা পিপিআরসির উদ্যোগে এ প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। ফোরামের সদস্য হিসেবে সরকারি কর্মকর্তা, নীতি-নির্ধারক, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি রয়েছেন মোট ১৪ জন।

ফোরামের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ফোরাম আহ্বায়ক হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, তিনটি অগ্রাধিকার কর্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করবে ইউএইচসি ফোরাম। প্রথমতঃ ইউএইচসি অর্জনে বাস্তব অগ্রগতি পর্যালোচনা। দ্বিতীয়তঃ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংস্কার কর্মসূচিতে গতি ও বেগ আনার জন্য রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তাদীপ্ত কৌশল প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে ফলপ্রসূ মত বিনিময়। তৃতীয়তঃ স্বাস্থ্যসম্মত জীবন প্রণালী ও স্বাস্থ্য স্বাক্ষরতা বিস্তারে সর্বস্তরের জনসাধারণ বিশেষ করে তৃণমূল মফস্বল, স্কুল পর্যায়ে কার্যকর সামাজিক আন্দোলন।

আসন্ন রমজানের আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে মত বিনিময়ের জোরালো প্রচেষ্টা চালানো হবে। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য খাতের ক্রমবর্ধমান সংকটে ব্যক্তি খাতের সঙ্গেও মত বিনিময় করবে ফোরাম।

ফোরামের সমন্বয়ে থাকবে হোসেন জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে কোর স্টিয়ারিং গ্রুপ। উৎসাহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ফোরামের সদস্য পদ উন্মুক্ত থাকবে। পিপিআরসি কার্যালয় ফোরামের সচিবালয় হিসেবে কাজ করবে।

এ সময় পথিকৃৎ ইনস্টিটিউট অব হেলথ স্টাডিজের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লিয়াকত আলী বলেন, আমাদের ডাক্তারের অনুপাতে নার্সের সংখ্যা খুবই কম। এজন্য সময় অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ২০২৫ সাল নাগাদ আমাদের কত ডাক্তার, নার্সের প্রয়োজন রয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ তা কত করতে হবে, এসব পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ডাক্তার, ডেন্টিস্ট, নার্স এবং ফার্মাসিস্ট ছাড়া কোনো পেশার রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি নেই। এখন সাইকোলজিস্ট, নিউট্রিশনিস্টেরও কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। কমিউনিটি এনগেইজমেন্ট করতে গেলে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে সমন্বয় ও দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণে অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে। আমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য পেশাগত পরিকল্পনা এবং মোটিভেশনাল ক্যারিয়ার প্ল্যান এগুলোর প্রচণ্ড অভাব রয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কোয়ালিটি কেয়ার কনসার্নের সিইও ড. আমিনুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ, স্বাস্থ্য পরিষেবার সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এএমএম নাসির উদ্দিন, পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আবু জামিল ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, সিএমইডি হেলথের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক খন্দকার এ. মামুনসহ অনেকে। 


আরও দেখুন: