চিকিৎসক কখনো রোগীর মৃত্যু চান না: প্রধান বিচারপতি
বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির ৩ দিনব্যাপী ৫১তম বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, চিকিৎসক কখনো রোগীর মৃত্যু চান না। কোন কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে সেজন্য একজন চিকিৎসককে আটকিয়ে রাখলে অন্য রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। কষ্ট পাবে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিন্টু রোডের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির ৩ দিনব্যাপী ৫১তম বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গ্রামের মানুষকে চোখের যত্নের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে প্রশাসনিকভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি ওয়ায়দুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্যসেবা নীতির ফলে দেশের স্বাস্থ্যখাত বিকশিত হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। সরকারের সুদূরপ্রসারি চিন্তা ভাবনার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে। চক্ষু চিকিৎসা ও হৃদরোগের চিকিৎসা আন্তর্জাতিকমানের হওয়ায় রোগীরে বিদেশ নির্ভরতা কমেছে। দেশের গ্রামীণ জনপদের মানুষের মাঝে চোখের যত্নের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে প্রশাসনিকভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অব অফথ্যালমোলজির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আভা হোসেন ও বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. দীপক কুমার নাগ।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম মুকতাদির।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য- যত্নে রাখি চোখ, দৃষ্টি রাখি ভালো, নতুন দিনের দৃষ্টিপ্রদীপ, একান্নতেই জ্বালো।