মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে সতর্ক প্রশাসন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে সতর্ক প্রশাসন
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য মেডিকেল কলেজর ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের জালিয়াতি রোধে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন।তিনি জানান, গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির সাইবার ইউনিটগুলোও এ ব্যাপারে কাজ করছে। সূত্র: ঢাকা টাইমস।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে অনলাইন পত্রিকাটি লিখেছে, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি বা প্রতারণা ঠেকাতে ইতোমধ্যে পুলিশের সবগুলো ইউনিটকে চিঠি দিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন্স) নাসিয়ান ওয়াজেদ। সেখানে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কেউ জালিয়াতির চেষ্টা করলে বা অর্থের বিনিময়ে ভর্তি করানোর আশ্বাস দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছতার সঙ্গে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে সম্প্রতি চিঠি পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সরকারি ১৮টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজসহ মোট ১৯টি ভেন্যুতে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিগত দিনে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কিছু কুচক্রীমহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি কোচিং সেন্টারের নামে বা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা ব্যক্তিগতভাবে মেডিকেল কলেজে ভর্তির নিশ্চয়তা দিতো। এই কুচক্রীমহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজরা অভিভাবকদের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে স্বচ্ছ পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অহেতুক হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ রয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা জাতীয়ভাবে অনুষ্ঠিত একটি সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর পরীক্ষা। এ জন্য সব কুচক্রী মহলের দিকে কড়া নজরদারি বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে বছর ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে ভর্তির জন্য পরীক্ষা নেওয়া হবে। গতবারের তুলনায় এবার সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ১ হাজারের বেশি সিট বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মোট ৬ হাজার ৩৪৮ আসন রয়েছে। চলতি বছর এমবিবিএস কোর্সে সর্বমোট ১১ হাজার ৭২৮টি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সুযোগ পাবেন। এর বাইরে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ও আর্মি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন ৩৭৫ জন শিক্ষার্থী।