আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএসএমএমইউর সুনাম বাড়িয়েছে রিউমাটোলজি বিভাগ: ভিসি

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-02-03 15:21:14
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএসএমএমইউর সুনাম বাড়িয়েছে রিউমাটোলজি বিভাগ: ভিসি

বিএসএমএমইউয়ে রিউমাটয়েড আর্থাইটিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম বয়ে আনছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রিউমাটোলোজি বিভাগ। এমনটা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এই বিভাগ বেশ ভাল ভাল গবেষণা কাজ করছে। তাদের এ গবেষণার মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছে। 

‘রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস-এ সুন্দর ভবিষ্যৎঃ প্রয়োজন দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং যথাযখ চিকিৎসা’ প্রতিপাদ্যে বিএসএমএমইউয়ে রিউমাটয়েড আর্থাইটিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিসি এ কথা বলেন।

দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে রিউমাটোলোজি বিভাগ।

প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, যখনই কোন মানুষের শরীরে সন্ধিতে ব্যথা অনুভব করবেন, তখনই রিউমাটোলোজি বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। সেখানকার পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। রোগ ধরা পরলে চিকিৎসকের নির্দেশনা মোতাবেক চলাচল করলে এ রোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ব্যথা নিয়ে ঘরে পরে থাকলে ক্ষতি হবে। এটি এমন রোগ, যা শরীরের অন্যান্য অংশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এমন রোগীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুচিকিৎসা পাবে। রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের চিকিৎসা না করলে মানুষ পঙ্গু হয়ে ঘরে বসে থাকবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের রোগীরা ঘরে বসে ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকে। নিজেরা ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ব্যথার ওষুধ খেলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কিডনি নষ্ট হয়ে যাবে। বাংলাদেশের ১৭ হাজার রোগী কিডনির ডায়ালাইসিস নিয়ে থাকেন এবং প্রায় তিন হাজার রোগী কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়।

শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রিউমাটোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ্, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, সহেযাগী অধ্যাপক (সার্জিক্যাল অনকোলোজি) ডা. মো. রাসেল, রিউমাটোলোজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক ডা. মেজর (অবঃ) সৈয়দ জামিল আব্দাল, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও দেখুন: