ওষুধের মান যাচাইয়ে যন্ত্রপাতি কিনেছে ওষুধ প্রশাসন: ডিজি

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-01-31 13:34:18
ওষুধের মান যাচাইয়ে যন্ত্রপাতি কিনেছে ওষুধ প্রশাসন: ডিজি

মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে প্রোবায়োটিকের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা সভা

ওষুধের গুণগত মান যাচাইয়ে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি কিনেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে প্রোবায়োটিকের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. ইউসুফ।

তিনি বলেন, ওষুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আমরা সম্প্রতি অনেকগুলো মেশিন কিনেছি। মানসম্মত ওষুধ তৈরি করতে পারলে দেশের বাইরেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। 

মেজর জেনারেল মো. ইউসুফ বলেন, চীনের একটি বড় কোম্পানি প্রোবায়োটিকের কাঁচামাল নিয়ে এসেছে। তাদের সেসব ওষুধ মানুষকে দিবো। সেগুলোতে কোন সাইড এফেক্ট আছে কি না- তা দেখা হবে। আশা করছি, সংশ্লিষ্ট কোম্পানি উন্নতমানের কাঁচামাল আমাদের দেশে পাঠাবে। যাতে দেশেই উন্নতমানের প্রোবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন এবং রপ্তানি করা যায়।

টোটাল হারবাল অ্যান্ড নিউট্রেশনের সিইও মুন্সি দারুল ইসলাম বলেন, মানুষের শরীরে দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, ভালো ও খারাপ। প্রোবায়োটিক এক ধরনের ভালো ব্যাকটেরিয়া। ভালো এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সামঞ্জস্যতা নষ্ট হলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। এই ব্যালেন্স ঠিক রাখার জন্য প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল, পাউডার দুধ ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। এর মাধ্যমে মানুষের শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। এতে সুস্থ থাকে শরীর।


তিনি আরও জানান, অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ালে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে ভালো ব্যাকটেরিয়াও মরে যায়। প্রোবায়োটিক ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়। অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিকের সাইড ইফেক্টে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। এছাড়া নানা সমস্যা হয়। তাই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পর প্রোবায়োটিক খাওয়ানো প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চীনা কোম্পানি বায়োগ্রোয়িং প্রোবায়োটিকের কাঁচামাল উৎপাদন করে থাকে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে কাঁচামাল থেকে প্রোবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন।


আরও দেখুন: