বিএসএমএমইউয়ে সফলভাবে দ্বিতীয় ক্যাডাভারিক কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-01-26 11:28:30
বিএসএমএমইউয়ে সফলভাবে দ্বিতীয় ক্যাডাভারিক কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন

বিএসএমএমইউয়ের ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট টিমের সঙ্গে ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দ্বিতীয়বারের মতো সফল ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন হয়েছে। এবারে ব্রেইন ডেড রোগী মো. মাসুম আলমের (৩৮) দুইটি কিডনি দু’জন কিডনি রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টে প্রধান সার্জন ছিলেন বিএসএমএমইউর প্রক্টর ও ক্যাডাভারিক ট্রান্সপ্লান্ট সেলের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। বিএসএমএমইউ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত নয়টায় বিএসএমএমইউতে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয়। অপারেশন কার্যক্রম চলে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। অপর কিডনি জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রাত সাড়ে ১২টায় প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিএসএমএমইউতে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট শুরু হয়। ঢাকার কামরাঙ্গীচরের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী মো. মাসুম আলম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্রেন ডেথ হন। তার অভিভাবকরা তাকে ক্যাডাভার হিসেবে অঙ্গদানের সম্মতি প্রদান করেন।

তার দুইটি কিডনির একটি গ্রহণ করেছেন রাজধানীর মহাখালীর বাসিন্দা ৪৯ বছরের মোসাম্মৎ তাহমিনা ইয়াসীন। অপরটি ৪৪ বছর বয়সী জাকির হোসেন। 

বিএসএমএমইউয়ের ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের শুরুতে কেবিন ব্লকের অপারেশন থিয়েটারে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। কিডনীদাতা মাসুমের পরিবারের সদস্য ও গ্রহীতার স্বজনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় শারফুদ্দিন আহমেদ অঙ্গদাতা মাসুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

প্রসঙ্গতঃ ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউতে প্রথমবারের মতো একজন মৃত মানুষের শরীর থেকে কিডনি নিয়ে তা অন্য দুইজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছরের তরুণীকে ১৮ জানুয়ারি ‘ব্রেইন ডেড’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেদিন রাতেই তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুইজন নারীর শরীরে। এছাড়া, সারাহের চোখের কর্নিয়া দেওয়া হয় আরও দুইজনকে।


আরও দেখুন: