‘নিয়ম মেনে ডায়াবেটিস রোগীরাও সহজে রোজা রাখতে পারবেন’
জাতীয় প্রেসক্লাবে ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসিইডিবি) আয়োজিত অনুষ্ঠান
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজে এবং নিরাপদে রোজা রাখা সম্ভব। এমনকি কিছু নিয়ম মেনে ডায়াবেটিস রোগীরাও সহজে রোজা রাখতে পারবেন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসিইডিবি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন।
গবেষণার তথ্য তুলে ধরে এসিইডিবি জানায়, বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৮০ জন ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন। এদের মধ্যে যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখেন, তারা কিছু জটিলতার সম্মুখীন হন। বিশেষ করে রক্তে সুগারের স্বল্পতা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), রক্তে সুগারের আধিক্য (হাইপারগ্লাইসিমিয়া), ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস এবং পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভুগে থাকেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব ডা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, একাধিক গবেষণা দেখা গেছে, রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে যারা রোজা রাখেন তাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়াসহ অন্য জটিলতা রমজানের পূর্বের চেয়েও অনেক কম হয়। রোজা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত। রমজানের কমপক্ষে দুই থকে তিন মাস আগে থেকেই ডায়াবেটিস রোগীদের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
এসিইডিবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, রোজায় অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয়। এ অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীরা ইনসুলিন নেন এবং ওষুধ খেয়ে থাকেন। তাই রমজানে তাদের বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সেজন্য খাদ্য, ব্যায়াম ও ওষুধের সমন্বয় করা যেতে পারে। রমজানের আগেই নফল রোজা রেখে অভ্যাস করে নিতে পারেন।
এসিইডিবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, কিছু বিষয়ে একটু সচেতন হলেই ডায়াবেটিস রোগীরা রোখতে পারবেন। যেমন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে তিনবারের ওষুধ এক বা দু’বারে নিয়ে আসা যেতে পারে। দিনের ওষুধ রাতে খাওয়ার নিয়ম করে নিতে পারেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডায়াবেটিস রোগীরা যাতে সহজে রোজা পালন করতে পারেন, সে ব্যাপারে দীর্ঘদিন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ড্রোক্রাইন ডিপার্টমেন্ট সর্বস্তরে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। রমজানের আগে এই হাসপাতালের এন্ড্রোক্রাইনোলজিস্টরা সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকেন।