দ্বিতীয়বারের মতো এমপি হলেন অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-01-08 13:32:22
দ্বিতীয়বারের মতো এমপি হলেন অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত

অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত

কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয় লাভ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি নৌকা প্রতীকে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফ ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৬৮ ভোট। 

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাবের মো. সোয়াইব উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নির্বাচনী ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩১ জুলাই এই আসনের সংসদ সদস্য সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ মারা যান। পরবর্তীতে উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।

অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক স্বাধীনতা পদক লাভ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই মেয়াদে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ১৯৫৩ সালের ১ অক্টোবর কুমিল্লার চান্দিনার মহিচাইলে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা কালা চান দত্ত এবং মা কিরণ প্রভা দত্তের ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।

মহিচাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা-পড়া করেন। ১৯৬৮ সালে কুমিল্লার চান্দিনা পাইলট হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ১৯৭০ সালে ইন্টার পাশ করেন। এর পর ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপর ২০ জানুয়ারি ১৯৮০ সালে স্কলারশিপ নিয়ে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়ে প্রথমে মাস্টার্স (এমএস), এবং পরবর্তীতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে ৭ জুলাই ১৯৮৩ সালে দেশে ফিরেন।

১৮ জুন ১৯৭৯ সালে তিনি জয়শ্রী রায় জয়াকে (ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে সহযোগী অধ্যাপক) বিয়ে করেন। তাদের এক ছেলে অরিন্দম দত্ত, এক মেয়ে, সন্তান অনিন্দিতা দত্ত।

ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ১৯৭৭ সালে প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। নাক কান গলা বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও রংপুর মেডিকেল কলেজর সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। পরে অধ্যাপক হিসেবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে নিয়োগ পান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৯ সালে যোগদান করেন নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান পদে। ২০০০ সালে ট্রেজারার পদে দায়িত্ব পালন করেন। এই পদে দায়িত্ব পালন করেন ২০০৯ সাল পর্যন্ত পর্যন্ত। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। 


আরও দেখুন: