চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন ডা. দীপু মনি
ডা. দীপু মনি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসন থেকে জয় লাভ করেছেন ডা. দীপু মনি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য হলেন তিনি। এরআগে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।
রোববার রাতে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
চাঁদপুরের এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৭ জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের ডা. দীপু মনি (নৌকা) প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ১৬৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া (ঈগল) ২৪ হাজার ১৯৭ ভোট, জাকের পার্টির মো. কাওছার মোল্লা (গোলাপ ফুল) ১৪৩৭ ভোট, মো. রেদওয়ান খান (ট্রাক) ১২৩৪ ভোট, জাতীয় পার্টির মো. মহসীন খান (লাঙ্গল) ৮২৮ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের আবু জাফর মো. মাঈনুদ্দিন (মোমবাতি) ৭৩৩ ভোট ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. মিজানুর রহমান (ফুলের মালা) ৩৪৩ ভোট পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ডা. দীপু মনি। সেবার বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী।
ডা. দীপু মনি ১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা একুশে পদক বিজয়ী ভাষা আন্দোলন কর্মী ও রাজনীতিবিদ এম.এ ওয়াদুদ। মাতা রহিমা ওয়াদুদ ছিলেন শিক্ষিকা। তার ২ ভাইবোনের মধ্যে একমাত্র ভাই জে আর ওয়াদুদ টিপু একজন চিকিৎসক।
দীপু মনি হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএলবি পড়েন। এমবিবিএস ডিগ্রি লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমঝোতা ও দ্বন্দ্ব নিরসন এর ওপর একটি কোর্স সম্পন্ন করেন।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এ্যাডভোকেট তৌফিক নাওয়াজ দীপু মনি'র স্বামী। তিনি আন্তর্জাতিক একটি ল’ফার্মের প্রধান। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। পুত্র তওকীর রাশাদ নাওয়াজ ও কন্যা তানি দীপাভলী নাওয়াজ।