ডা. হালিদা হানুমকে সম্মাননা জানাল ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফোরাম
অধ্যাপক ডা. হালিদা হানুম আখতারকে আনুষ্ঠানিক সম্মাননা প্রদান করেছে ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফোরাম
নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘রোকেয়া পদক’ এবং বাংলা একাডেমির ‘সাম্মানিক ফেলোশিপ’ পাওয়ায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডা. হালিদা হানুম আখতারকে আনুষ্ঠানিক সম্মাননা প্রদান করেছে ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফোরাম। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টারে সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ডা. হালিদা হানুম আখতার বলেন, বিদেশে প্রচুর কাজ করার সুযোগ থাকলেও সব সময় চেষ্টা করেছি নিজের দেশের জন্য কিছু করার। কাজের মাধ্যমে মানুষ তৈরি করতে চেয়েছি।
বাংলাদেশ ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক ডা. হাবিবুল্লাহ্ তালুকদার রাসকিন বলেন, ডা. হালিদার সঙ্গে আমরা অনেক দিন ধরে যুক্ত রয়েছি। তিনি মানুষকে সম্মান দিতে জানেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের চেয়ারপারসন মোছাররত সৌরভ। তিনি বলেন, ডা. হালিদা মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে আজ অবধি বাংলাদেশে নারী স্বাস্থ্যে জন্য বেশ জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর গবেষণা গ্রন্থগুলো অত্যন্ত সমৃদ্ধ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের চেয়ারপারসন মোছাররত সৌরভ, ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন, কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের সেক্রেটারি ইকবাল মাহমুদ, ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফোরামের অন্যতম সমন্বয়কারী ও কমিউনিটি অনকোলজি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি মাহবুব শওকত, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মাশহুদা আকতার শেফালী, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও কবি রোকেয়া ইসলাম, শেরপুর ডায়াবেটিক সমতিসহ একাধিক সংগঠনের সম্মানিত সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া।
আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল, হারমনি ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবদুস সবুর, রংপুরের কালেক্টরেট কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা ও সাবেক সচিব আবুল কালাম আজাদসহ অনেকে।
অধ্যাপক ডা. হালিদা হানুম আখতার তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে দেশে ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার ও পদক পান। তিনি মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে যুদ্ধে ধর্ষণের শিকার সন্তানসম্ভবা মেয়েদের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ ‘সেবা সদন’-এর দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর জন্মনিয়ন্ত্রণ, ব্রেস্ট ফিডিং, মাতৃমৃত্যু ও অসুস্থতা, গর্ভপাত এবং কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ওপর গবেষণা কার্যক্রম দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত।