সকল হাসপাতালে সিজার সেকশন কমাতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রেসিডেন্ট ও নন- রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
আমাদের প্রতিটি হাসপাতালে সিজার বা সি সেকশন ৭০ শতাংশ রয়েছে যা আমাদের জন্য ভয়াবহ। এখন থেকে বেসরকারী ও সরকারী হাসপাতালে ১৫ শতাংশে কমিয়ে আনতে হবে । যদিও সরকারী হাসপাতালগুলোতে সিজার খুব কম হয় । আমাদের নরমাল ডেলিভারীর দিকে আগ্রহ বাড়াতে হবে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বিএসএমএমইউয়ে রেসিডেন্ট ও নন- রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ আমরা উন্নয়নের এই ধারায় ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নতি করেছি । সেখানে সবাই জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলি, সেই কথা যেন ভুলে না যাই। দেশের সর্বমোট ৬ শতাধিক হাসপাতালের চিকিৎসককে সাধারণ মানুষের উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, পাশের দেশ ভারতে কিডনি স্থাপনে লাগে ৫০ লাখ টাকা সেখানে আমাদের লাগবে মাত্র তিন লাখ টাকা। শুধু তাই না আমরা সবক্ষেত্রে তিন গুন বেশী বরাদ্ধ বাড়েয়েছি । মেডিকেলে আগে ভর্তি পরীক্ষায় সিট ছিল ৩ হাজার এখন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার করেছি।
বিএসএমএমইউ ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেও দেশেই চিকিৎসাসেবা নিতে পছন্দ করেন। আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের রোগীরা যাতে চিকিৎসাসেবার জন্য দেশের বাইরে না যান। সে লক্ষ্য পূরণে দেশেই সকল ধরনের জটিল চিকিৎসা স্বল্প ব্যয়ে নিশ্চিত করার কাজ চলছে। তবে এ লক্ষ্য পূরণে অবশ্যই দক্ষ জনবল সুনিশ্চিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্নের কথা বলেন না, তিনি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে জানেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। স্মার্ট হেলথ কেয়ারসহ স্মার্ট বাংলাদেশও তার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিয়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. রনজিত কুমার সরকার, বিএসএমএমইউ প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসক, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।