আইসিডিডিআর,বির বিশ্বজোড়া প্রভাবের ৬৩ বছর উদযাপন

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-12-06 11:04:37
আইসিডিডিআর,বির বিশ্বজোড়া প্রভাবের ৬৩ বছর উদযাপন

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনের অগ্রগামী যাত্রায় ৬৩ বছর পূর্ণ করল আইসিডিডিআর,বি

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনের অগ্রগামী যাত্রায় ৬৩ বছর পূর্ণ করল আইসিডিডিআর,বি। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার মহাখালী ক্যাম্পাসে সেমিনারসহ নানা আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। 

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআর,বি-র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ। তিনি চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য গবেষণায় অদ্যাবধি আইসিডিডিআর,বি-র গুরুত্বপূর্ণ অবদানগুলো তুলে ধরেন। খাওয়ার স্যালাইন বা ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপির (ওআরএস) মতো যুগান্তকারী উদ্ভাবনে, শিশুদের ডায়রিয়াজনিত রোগের মৃত্যাহার কমাতে, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং ধনুষ্টংকার টিকার গবেষণায়, মুখে খাওয়ার কলেরা ভ্যাকসিন তৈরি, গুরুতর অপুষ্টির চিকিৎসার জন্য গাইডলাইন প্রস্তুত এবং বৈশ্বিক পোলিও নির্মূল প্রচেষ্টায় অবদান রাখার ক্ষেত্রে আইসিসিডিআর,বি-র নেতৃত্বশীল ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

সেমিনারে 'বাংলাদেশে দারিদ্র্য প্রবণতা এবং সক্রিয় নিয়ামকসমূহ: সাম্প্রতিক প্রমাণ থেকে অন্তর্দৃষ্টি' শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআেইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী এবং ইউক্রেন সংঘাত দেশের দারিদ্র স্তরে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। তবে এর আগে গত এক দশকে দারিদ্র হ্রাসে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে। ড. সেন দারিদ্রের প্রধান চালকসমূহ তুলে ধরার পাশপাশি এর থেকে উত্তরণে বেশ কিছু নীতিগত প্রস্তাব করেন। তিনি স্মার্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, টেকসই প্রবৃদ্ধি, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থায় বিবেচনায় স্বল্প ও মধ্যমেয়াদে সেসব নীতিপ্রস্তাব বাস্তবায়নের সুপারিশ করেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলাস। তিনি বলেন, আইসিডিডিআর,বি শুধুমাত্র গবেষণার ক্ষেত্রেই নয়, জনগোষ্ঠীর জীবনেও অবদান রাখছে, বিশেষ করে দরিদ্রদের জন্য যাদের আর্থিক সামর্থ্য নেই স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো পাওয়ার। এটি একটি অবিশ্বাস্য অবদান। আইসিডিডিআর,বি ভবিষ্যতে আরও কি কাজ করবে তা দেখতেও আমি অত্যন্ত আগ্রহী। কানাডা অবশ্যই প্রথম থেকেই গর্বিত মূল দাতা হিসাবে আইসিডিডিআর-বি-র সাথে থাকতে পেরে যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

কলেরার প্রকোপ রোধে ১৯৬০ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন সাউথইস্ট এশিয়া ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিয়াটো) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনআইএইচ) সহায়তায় কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরি (সিআরএল) হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠানটির নাম হয় আইসিডিডিআর,বি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে আইসিডিডিআর,বি আইন ২০২২ এর প্রথম বর্ষপূর্তিও উদযাপিত হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আইসিডিডিআর,বি আইন-২০২২ পাশ হয়। এই আইনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইসিডিডিআর,বি-এর ভূমিকার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হয়েছে।


আরও দেখুন: