বরুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নভেম্বরে ৬৭টি নরমাল ডেলিভারি
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নভেম্বর মাসে ৬৭টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে।শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল। এ সময়ে আরও ১৪টি সিজারিয়ান অপারেশন, ৩টি এপেন্ডিসাইটিস, ১টা হাইড্রোসিল এবং ১টি হার্নিয়া অপারেশন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ডা. কামরুল হাসান সোহেল জানান, নরমাল ডেলিভারিগুলো করেন সিনিয়র স্টাফ নার্স ফরিদা ইয়াসমিন, মিডওয়াইফ শাফলি বেগম, মিডওয়াইফ রেজওয়ানা পারভীন, মিডওয়াইফ বনানী আক্তার এমি, মিডওয়াইফ মারুফা আক্তার বিবি।
৬৭টি নরমাল ডেলিভারি করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! ৬৭টি নরমাল ডেলিভারিতে জন্ম নেয়া প্রত্যেক নবজাতক সুস্থ অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে এবং তাদের মায়েদেরও কোন সমস্যা হয়নি। কোন ইনফেকশন হয়নি। সবাই হাসিমুখে সুস্থ অবস্থায় তাদের আদরের সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তিনি আরও জানান, বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি কনসালটেন্ট ডা. শাহনাজ বেগম এবং ডা. শাহিনুর আক্তার গর্ভবতী মায়েদের সবসময়ই সিজারিয়ান অপারেশনের চেয়ে নরমাল ডেলিভারিকে বেশি উৎসাহিত করেন। সিজারিয়ান অপারেশন যখন অবশ্যম্ভাবী, কেবল তখনই সিজারিয়ান অপারেশন করেন।
সফলভাবে ১৪টি সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য গাইনি কনসালটেন্ট ডা. শাহনাজ বেগম, এফসিপিএস (গাইনি) ও ডা. শাহিনুর আক্তারকে (এমএস, গাইনি) তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। ওটি এসিস্ট করেন ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস (এমএস, গাইনি, ফেজ-বি), ডা. শাহিনুর আক্তারকে (ডিজিও)। সিজারিয়ান অপারেশনে জন্ম নেয়া ১৪ জন নবজাতকই সুস্থ অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেন এবং তাদের মায়েদেরও কোন সমস্যা হয়নি। কোন ইনফেকশন হয়নি। সবাই হাসিমুখে সুস্থ অবস্থায় তাদের আদরের সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এছাড়াও ৩টি এপেন্ডিসাইটিস, ১ টা হাইড্রোসিল এবং ১ টা হার্নিয়া অপারেশন করেন কনসালটেন্ট সার্জারি ডা. মো. সাইদুল আনোয়ার। এজন্য ধন্যবাদ জানান কনসালটেন্ট সার্জারি ডা. মো. সাইদুল আনোয়ারকে (এফসিপিএস, সার্জারি)। ওটি এসিস্ট করেন ডা. মোহাম্মদ নওশাদ আবসার, এমএস (সার্জারি, ফেইজ-বি), ডা. সিফাত সালেহ, এমএস (শিশু সার্জারি, ফেইজ-এ)। ৫টি সার্জারি অপারেশনের রোগীই সুস্থ ছিলেন। কোন ইনফেকশন হয়নি। সুস্থ অবস্থায় হাসিমুখে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এছাড়াও নিয়মিত এনেস্থিসিয়া দিয়ে ওটিগুলো সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় এনেস্থিসিয়া কনসালটেন্ট ডা. জুলকারনাইন মজুমদারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। সেইসাথে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ওটি ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসনাহেনা, সিনিয়র স্টাফ নার্স প্রিয়াঙ্কা রাণী ভৌমিক, সিনিয়র স্টাফ নার্স রাবেয়া আক্তার মুন্নী, ওয়ার্ডবয় নাসির ও ওয়ার্ডবয় সাইফুলকে।