হাইপারটেনশন বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের দ্বিতীয় সংস্করণ উন্মোচন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ননকমিউনেকবেল ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি) এর উদ্যোগে হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ) বিষয়ক জাতীয় নির্দেশিকা (গাইডলাইন)-এর দ্বিতীয় সংস্করণের উন্মোচন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ননকমিউনেকবেল ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি) এর উদ্যোগে হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ) বিষয়ক জাতীয় নির্দেশিকা (গাইডলাইন)-এর দ্বিতীয় সংস্করণের উন্মোচন করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) হোটেল সোনারগাঁয়ে বলরুমে এ উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে চিকিৎসক এবং অতিথিরা হাইপারটেনশন সম্পর্কে সর্বত্র সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে হাইপারটেনশন আরো নিয়ন্ত্রণে গবেষণাভিত্তিক কার্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটানো জরুরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তারা।
অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করে জাইকা ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশে। সায়েন্টিফিক পার্টনার হিসেবে ছিল ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, হাইপারটেনশন এক নীরব ঘাতক। এর ফলে ডায়াবেটিক, স্ট্রোক, কিডনি, হ্নদরোগসহ বিভিন্ন রোগের বৃদ্ধি ও ঝুঁকি বাড়ছে। অসচেতনতা এবং অজ্ঞতার কারণে হাইপারটেনশন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নিয়ন্ত্রণে আসছে না। সব বয়সীদের মাঝেই হাইপারটেনশন ক্রোগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে রোগীদের চিকিৎসায় সরকার ও ব্যক্তির খরচ বেড়েই চলেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন গাইডলাইনে ‘হাইপারটেনশন’ নিয়ন্ত্রণে অনেক ধরনের তথ্য দেয়া হয়েছে। এসব তথ্য সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (শিক্ষা) মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া, জাইকার সিনিয়র রিপ্রেজেনটেটিভ তাকাশি কোমরই, কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশিদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আওয়াল রিজভী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমীন।
সদ্য প্রকাশিত গাইডলাইনের (দ্বিতীয় সংস্করণ) বিভিন্ন অধ্যায়ের ওপর আলোচনা করেন অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান, অধ্যাপক ডা. ফজিলাতুন্নেছা মালিক, অধ্যাপক ডা. এমএস জহিরুল হক, অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিত প্রসাদ, অধ্যাপক ডা. শিরিণ আফরোজ এবং ড. সাব্বির হায়দার।