বাংলা একাডেমির 'মেহের কবীর বিজ্ঞানসাহিত্য পুরস্কার-২০২৩' লাভ করলেন  ইমেরিটাস অধ্যাপক, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ। শনিবার বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪৬তম বার্ষিক সভায় তিনিসহ আরও ১৪জন গুণীজনকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ফেলোশিপ দেয়া হয়।

এর আগে ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি কর্তৃক ফেলোশিপ লাভ করেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ। এ নিয়ে বাংলা একাডেমির দ্বিতীয় পুরষ্কার লাভ করলেন তিনি।

দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণাসহ সামগ্রিক পেশার উন্নয়ন, মর্যাদা বৃদ্ধি ও সুনাম বাড়াতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বাস্থ্যবিষয়ক টকশোসহ নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক কলাম নিয়মিত লিখে থাকেন।  মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য ছয়টির বেশি বই লিখেছেন। সেগুলো হল: শর্ট কেসেস ইন ক্লিনিক্যাল মেডিসিন, লং কেসেস ইন ক্লিনিক্যাল মেডিসিন, ইসিজি অব মেডিক্যাল প্র্যাকটিস, রেডিওলজি অব মেডিক্যাল প্র্যাকটিস। তাঁর লেখা  মেডিকেলের বই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ব্রিটেন, আরবসহ বিশ্বের অন্ততঃ ৪০টি দেশের বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। এছাড়াও সাধারণ পাঠকের জন্য বাংলায় লিখেছেন স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্বাচিত কলাম ও শীর্ষক দুটি বই। ২০২২ সালে মেডিসিনের বাইবেলখ্যাত পাঠ্যপুস্তক ডেভিডসনস' প্রিন্সিপ্যাল অ্যান্ড প্র্যাকটিস অব মেডিসিন' এর ২৪তম আন্তর্জাতিক সংস্করণের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য মনোনীত হন তিনি।  

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ ২০১৫ সালে 'শর্ট কেসেস ইন ক্লিনিক্যাল মেডিসিন' নামক পুস্তক রচনার জন্য 'ইউজিসি অ্যাওয়ার্ড ২০১৩' লাভ করেন।  ২০১৬ সালে গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমির ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০১৯ সালে ইউজিসি অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ২০২২ সালে বিএসএমএমইউ সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ইমেরিটাস অধ্যাপক মনোনীত করা হয়। বিএসএমএমইউর ইতিহাসে তিনি সর্বপ্রথম এই সম্মাননা পেয়েছেন। দেশের চিকিৎসাখাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ চলতি বছর তিনি পেয়েছেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতিপদক।