বায়ু দূষণে বিশ্বে ৬ষ্ঠ ঢাকা
বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০৮টি শহরের মধ্যে আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ
বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০৮টি শহরের মধ্যে আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। এ সময় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ১৬৭। বাতাসের এ মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আগেরদিন শনিবারও ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল ঢাকার বাতাস, স্কোর ছিল ১৭৭।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় প্রথম স্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর। দ্বিতীয় অবস্থানে ভারতের কলকাতা। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ২৬৫ ও ২১০।
একই সময়ে সবচেয়ে নির্মল বাতাসের শহরের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে উগান্ডার কামপালা। তার পর রয়েছে জাপানের দুটি শহর নাগোয়া ও কিয়োটো।
বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
আইকিউএয়ারের দেওয়া আজকের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। আজ ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ১৭ গুণের বেশি।
আইকিউএয়ারের বায়ু নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দূষণ থেকে রক্ষা পেতে আজ ঢাকাবাসীর জন্য পরামর্শে বলা হয়েছে, বাইরে বের হলে মাস্ক পরে বের হবেন, সেটি দূষণ থেকে আপনাকে সুরক্ষা দিতে পারে। বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাঁদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা, জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা আছেন। তাঁদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়।
৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়। ঢাকায় গত জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী।