ফরিদপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে তিনগুণ রোগী ভর্তি

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-11-19 17:53:27
ফরিদপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে তিনগুণ রোগী ভর্তি

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের ভীড়

শীতের শুরুতেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে ফরিদপুরে। ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের ১০ শয্যা নির্ধারিত থাকলেও বর্তমানে রোগী ভর্তি আছেন ৩৬ জন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই মহিলা। এদিকে রোগী বাড়ার সাথে সাথে স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের। সূত্র : ঢাকা পোস্ট। 

সূত্র জানায়, গত সাতদিনে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৮৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে হাসপাতালে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের স্যালাইনের সরবরাহের তুলনামূলক থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল চত্বরের পশ্চিম দিকের দুইতলা একটি ভবনের নিচতলার ১০ শয্যায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, শয্যা সংকটের কারণে কক্ষের ভেতরে এবং বাইরে বারান্দায় রেখে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যাই বেশি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে ফরিদপুরে বেড়েছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের চাপ। গত ৬-৭ নভেম্বর থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের চাপ বাড়ে হাসপাতালে। গত ১১ নভেম্বর থেকে শিশুদের পাশাপাশি নারী রোগীদের সংখ্যাও বাড়ছে।

এ হাসপাতালে গত ১১ নভেম্বর ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ২৮ জন রোগী ভর্তি হয়। পরদিন ১২ নভেম্বর ১৯ জন, ১৩ নভেম্বর ৫৬, ১৪ নভেম্বর ৫০, ১৫ নভেম্বর ৩৮, ১৬ নভেম্বর ৪৬, ১৭ নভেম্বর ২৫ এবং ১৮ নভেম্বর ২৪ জন ভর্তি হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে (১১ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত) সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৫০ জন রোগী। বর্তমানে হাসপাতালের ১০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বিপরীতে ৮ জন শিশু, ১১ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারীসহ মোট ৩৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।

দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স রাফেজা খানম বলেন, ফরিদপুর জেলা ছাড়াও মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ীসহ আশপাশের জেলাগুলোর রোগীরাও চিকিৎসা নিতে আসায় চাপ বেশি। গত একসপ্তাহ ধরে এ চাপ আরও বেড়েছে। 

স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করেছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. গনেশ কুমার আগরওয়ালা। তিনি বলেন, শীতের প্রারম্ভে সব সময়ই কোল্ড ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। হাসপাতালে স্যালাইনের তীব্র সংকট রয়েছে। একদিনে অন্তত ৬০টি স্যালাইন রোগীদের দিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় স্যালাইনের চাহিদা দিয়েছিলাম পাঁচ হাজার প্যাকেট। গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) চাহিদার বিপরীতে মাত্র ২৪০ প্যাকেট স্যালাইন পাওয়া গেছে। এ স্যালাইন আগামী তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। ঢাকা থেকে সাপ্লাই না পাওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে।


আরও দেখুন: