যেভাবে লিম্ফেটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলে সফল বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
2023-11-09 10:37:41
যেভাবে লিম্ফেটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলে সফল বাংলাদেশ

কালাজ্বর আক্রান্ত রোগী

বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সাথে সাথে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক উন্নতি হয়েছে। মানুষ জানতে পেরেছে প্রতিকুল পরিবেশ এবং জীবানু বা পরজীবীর কারনে মানব দেহে অনেক ধরনের সংক্রামক ব্যাধি বা রোগ হয়ে থাকে। উষ্ণমন্ডলীয় দেশগুলিতে অবহেলিত কিছু সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষণীয়। এই সকল রোগ গুলিকে পাশ্চাত্য ভাষায় Neglected Tropical Disease (NTD) বলা হয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় সারা বিশ্বে ২১টি NTD চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সকল সংক্রামক রোগের মধ্যে কিছু সংখ্যক রোগ উপ-উষ্ণমন্ডলীয় দেশগুলোতেও বিরাজিত। যেমন, বাংলাদেশ একটি উপ-উষ্ণমন্ডলীয় দেশ যাতে বর্তমানে ৭টি NTD বিদ্যমান আছে। বাংলাদেশ সরকার এই ৭টি NTD নির্মূল অথবা নিয়ন্ত্রণে অবিচল কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতার ফসল হিসাবে বিদ্যমান লিম্ফেটিক ফাইলেরিয়াসিস নামক NTD নির্মূলে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি সফলতা অর্জন করেছে।

লিম্ফেটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলে কার্যক্রমটি বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি কর্মসূচীর মাধ্যমে ২০০১ সাল থেকে চলে আসছে। শুরুতে বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতায় এই কার্যক্রমটি চলমান ছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন দাতা সংস্থা সমূহ যেমন, LSTM-CNTD, JICA, RTI International-USAID, UKAID, World Health Organization (WHO) ও অন্যান্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার আর্থিক অনুদানে কার্যক্রমটি চলে আসছে।

২০০১ সালে বাংলাদেশে একটি জরীপের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যে, ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৯টি জেলায় ফাইলেরিয়া রোগের সংক্রমনের (রক্তে মাইক্রো ফাইলেরিয়ার উপস্থিতি) হার ২% এর উর্ধ্বে রয়েছে। এই ১৯টি জেলা হলো: পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা। এই সকল জেলাসমূহে ২০০১ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মানুযায়ী বছরে ১ বার করে ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ৫ বছর সার্বিক জনগোষ্ঠিকে গণ-ঔষধ সেবন করানো হয়। দেখা যায় যে, ২০১৫ সাল পর্যন্ত রোগটির সংক্রমনতার হারের উপর ভিত্তি করে জেলা ভেদে ৫ থেকে ১২ রাউন্ড গণ-ঔষধ সেবন করানো হয়।

২০১৫ সালে সার্বিক বিবেচনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মানুযায়ী ফাইলেরিয়াসিস এর জন্য গণ-ঔষধ সেবন কার্যক্রমটি বন্ধ করা হয়। একই সাথে ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় ও সহযোগীতায় সংক্রমনতার বাধাগ্রস্থতার জরিপ (Transmition Assessment Survey ev TAS) কার্যক্রম শুরু করা হয়। নিয়মানুযায়ী ১৯টি ফাইলেরিয়া আক্রান্ত জেলায় পর্যায়ক্রমে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩টি TAS সম্পন্ন করা হয়। সংক্রমনতার হার (রক্তে মাইক্রো ফাইলেরিয়ার উপস্থিতি ২% এর নীচে) নিয়ন্ত্রিত থাকায় ২০২২ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিকট এতদসংক্রান্ত একটি পুঞ্জিভুত দলিল (Dossier) দাখিল করা হয়। পুঞ্জিভুত দলিলটির (Dossier) সার্বিক মূল্যায়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি ২০২৩ সালে বাংলাদেশকে ফাইলেরিয়ামুক্ত বা নির্মূল ঘোষনা করে। যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অন্যান্য দাতা সংস্থার সহযোগীতায় এই সফলতা অর্জন উদযাপন করতে উদ্যোগ নিয়েছে। বলা বাহুল্য যে, বিশ্বে বাংলাদেশ এই সাফল্যের ১৮তম দেশ এবং এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ৪র্থ দেশ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলের যে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে ইহা আগামী দিনগুলিতে টেকসই করার লক্ষে সুনিপুন কর্মপদ্ধতি অব্যাহত রাখতে হবে। যার প্রয়াস হিসাবে সার্বিক জনগোষ্ঠিকে রোগটির সংক্রমনতার নজরদারীতে (Post-validation surveillance) রাখা প্রয়োজন । উপরোন্ত ফাইলেরিয়া রোগের কারনে যে সকল রোগী বিকলাঙ্গতায় ভুগছে বিশেষ করে পুরুষ রোগীদের যাদের পুরুষাঙ্গ ফুলে (Hydrocele) আছে তাদের জীবীকার/কর্মক্ষমতার স্বার্থে অর্থনৈতিক কর্মময় জীবনে ফিরে আনার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। এ ব্যাপারে আগামী দিনগুলোতে সকলের সার্বিক সহযোগীতা একান্ত কাম্য।

কালাজ্বর নির্মূলের সারসংক্ষেপ

কালাজ্বর একটি প্রাণঘাতী রোগ। মেডিকেলের ভাষায় এটি ভিসারাল লিশম্যানিয়াসিস হিসেবে পরিচিত। এটি লিশম্যানিয়া পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট যা স্ত্রী স্যান্ডফ্লাই (বেলেমাছি) কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। সময়মত চিকিৎসা না হলে প্রায় ৯৫% কালাজ্বর রোগীর মৃত্যু হয়। এই জ্বরের প্রধান লক্ষণসমূহ অনিয়মিত দীর্ঘমেয়াদী জ্বর, প্লীহা এবং যকৃতের বৃদ্ধি, ওজন হ্রাস, এবং রক্ত স্বল্পতা।

কালাজ্বর একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগ যা সমাজের অবহেলিত ও প্রান্তিক গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমিত হয়। এ রোগের প্রার্দুভাব বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে দেখা যায় এবং প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন মানুষ এই রোগের ঝুঁকিতে থাকে। ব্রাজিল, পূর্ব আফ্রিকা এবং ভারতবর্ষে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশী দেখা যায়। প্রতিবছর আনুমানিক ৫০,০০০ থেকে ৯০,০০০ নতুন কালাজ্বর রোগী বিশ্বব্যাপী সনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে ৯০% রোগী ১৩টি দেশের অন্তর্গত। বাংলাদেশে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে।

১৮২০, ১৮৬০, ১৯২০ এবং ১৯৪০-এর দশকে বাংলায় কালাজ্বর মহামারীর ঢেউ পরিলক্ষিত হয়। ১৯৩১-১৯৪৩ সাল পর্যন্ত তদানীন্তন বাংলায় প্রায় ১০,০০,০০০ এর বেশি কালাজ্বর-এর রোগী সনাক্ত হয়েছে। কালাজ্বর সর্বপ্রথম ১৮২৪ সালে যশোর জেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল যার বেশিরভাগ অংশ এখন বাংলাদেশে। ১৯ শতকের মধ্যে এই রোগটি পশ্চিম পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গ উভয়ের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগটির বাহক বেলেমাছি, মানব সংক্রমণের রিজার্ভার (Reservoir) এবং সংক্রমণ চক্র ২০ শতকের প্রথম ৩ দশকে উদঘাটন হয়েছিল। ২০ শতক জুড়ে কালাজ্বর দক্ষিণ এশিয়ায় একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।

১৯১০-এ কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে প্রথম ট্রাইভ্যালেন্ট অ্যান্টিমনি ব্যবহার করা হয়েছিল, কিন্তু এটি অত্যন্ত বিষাক্ত ছিল। এর পরে কিছুটা কম বিষাক্ত পেন্টাভ্যালেন্ট অ্যান্টিমনি ছিল যা সমানভাবে কার্যকর ছিল, এটি ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রথম সারির চিকিৎসা ছিল। এখন কম ঝুঁকিপূর্ণ অধিকতর কার্যকর AmBisome এবং Miltefosine দ্বারা কালাজ্বর রোগের চিকিৎসা করা হয়।

বাংলাদেশে, সত্তর-এর দশকে বিভিন্ন এলাকায় কিছু সংখ্যক কালাজ্বরের রোগী সনাক্ত করা হয়েছিল এবং আশি সালে পাবনা জেলায় একটি প্রার্দুভাব ঘটেছিল। তারপর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশে কালাজ্বর সংক্রমণ হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১১ সময়কালে কালাজ্বর রোগীর সংখ্যার ভিত্তিতে ২৬টি জেলার মোট ১০০টি উপজলোকে কালাজ্বর উপদ্রুত উপজেলা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং তার বাস্তবায়ন ইউনিট (IUs) উপজেলা হিসাবে গ্রহন করা হয়েছিল।

২০০৫ সালে বাংলাদশ, ভারত এবং নেপাল সরকার ২০১৫ সালের মধ্যে জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে কালাজ্বর রোগকে নির্মূল (উপজেলা পর্যায়ে প্রতি ১০,০০০ জনসংখ্যার মধ্যে ১ এর কম রোগী) করার জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থ্যার মধ্যস্থতায় একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। ২০১৭ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে ভুটান এবং থাইল্যান্ড কে অর্ন্তভুক্ত করে সমঝোতা স্মারক (MoU) হালনাগাদ করা হয়েছিল।

বাংলাদেশে জাতীয় কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচী (NKEP) বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থ্যা দক্ষিন পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ২০০৫ সালের কৌশলগত কাঠামো অনুসরণ করে ২০০৬ সালে তাদের জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে।

জাতীয় কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচীর কর্মকৌশলের স্তম্ভগুলি হলো:

১. দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা সম্পন্ন করা

২. সমন্বিত বাহক ব্যবস্থাপনা এবং বাহক নজরদারি

৩. রোগের নজরদারি শক্তিশালী করা

৪. অপারেশনাল রিসার্চ

৫. অ্যাডভোকেসি, কমিউনিকেশন অ্যান্ড সোশ্যাল মোবিলাইজেশন (ACSM)

৬. মাল্টিসেক্টরাল এবং আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা

কালাজ্বর বাংলাদেশে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন 2018 এর অধীনে একটি লক্ষণীয় রোগ। বাংলাদেশে কালাজ্বর উপদ্রুত এলাকায় 22টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কালাজ্বর রোগের বিনামূল্যে রোগ নির্ণয় ও সম্পূর্ন চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হল সরকারি প্রাথমিক পরিচর্যা কেন্দ্র, যেখানে NKEP ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার সরঞ্জামাদি ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করে থাকে।

এছাড়াও সাতটি রেফারেল হাসপাতালে কালাজ্বর এর জন্য বিশেষায়িত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হয়। প্রাথমিকভাবে কালাজ্বর রোগের লক্ষনের উপস্থিতির পাশাপাশি rK39 ডায়াগনস্টিক টেস্ট এর ফলাফলের ভিত্তিতে কালাজ্বর সনাক্ত করা হয়। সাতটি টারশিয়ারী হাসপাতাল (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সংক্রামক রোগ হাসপাতাল (ঢাকা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা) এবং সূর্যকান্ত কালাজ্বর গবেষণা কেন্দ্র (SKKRC; ময়মনসিংহ) জটিল কালাজ্বর রোগীদের উন্নত ডায়াগনস্টিক এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়।

বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে NKEP ধীরে ধীরে কালাজ্বর রোগের সংক্রমণ কমিয়ে এনেছে (উপজেলা পর্যায়ে প্রতি 10,000 জনসংখ্যার ক্ষেত্রে 1 এর কম রোগী) এবং 201৮ সাল থেকে এই ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। এতে বাংলাদেশে "জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে কালাজ্বর নির্মূল হয়েছে" বলে ঘোষণার যোগ্যতা অর্জন করে।

দেশের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র কাছে একটি ডসিয়ার জমা দিয়েছিল। দাবির স্বতন্ত্র বৈধতার পর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে যে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশ যেটি "জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে কালাজ্বর নির্মূল" লক্ষ্য অর্জন করেছে।

এই সনদটি নিঃসন্দেহে দেশের জন্য গৌরবের ও সম্মানের। আমরা এও জানি যে, নির্মূলের এই ধারা বজায় রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে পরিগণিত হবে। যাচাইকরণের পরের পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে RDT rk39 প্রাপ্যতা বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে Evidence based শুন্য কালাজ্বর রির্পোটিং প্রতিষ্ঠা করা যায় । উন্নত ডায়াগনস্টিকসে সহজলভ্যতার জন্য একটি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি সিস্টেম স্থাপন এবং শক্তিশালী করা জরুরী। যেখানে উন্নত ডায়াগস্টিক বিশেষ করে মলিকুলার অ্যাসে এর মাধ্যমে সুনিশ্চিতভাবে জটিল কালাজ্বর, দ্রুত ও নির্ভূলভাবে সনাক্ত করা যায়। 2030 সালের মধ্যে "শুন্য কালাজ্বর" অর্জনের লক্ষ্যে, এই পর্যায়ে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা, নজরদারি এবং ভেক্টর নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য অধিকতর রিসোর্স বরাদ্দের প্রয়োজন হবে। অন্যথায় তিন বছর পর মূল্যায়নের মাধ্যমে কালাজ্বরের এই গৌরব হারাতে পারে।

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কালাজ্বর নির্মূল সরকারের ধারাবাহিকতা এবং নির্বাচনী অংগীকারের বাস্তব সাফল্য।

রোগটির নির্মূলতার সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় এবং দেশী বিদেশী অংশীদারগন ও সংস্থার সকল অর্জনের প্রশংসার দাবীদার। রোগটি নির্মূলে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।

সৌজন্যে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 


আরও দেখুন: