বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্কোরিংয়ের উদ্যোগ
মেডিকেল শিক্ষা
শিক্ষক, অবকাঠামো ও ল্যাবসহ ৫০ ধরনের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মান নির্ধারণ করে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের স্কোরিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্কোর একশর মধ্যে ২৫ এর কম হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বন্ধের সুপারিশ করবে অধিদপ্তর। বেসরকারি মেডিকেলের মান বাড়ানো ও বিশ্বমানের জনবল তৈরির লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন অনলাইন।
শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাষ্য অনুযায়ী, বেশকিছু বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার জন্য প্রয়াজনীয় অবকাঠামো ও সরঞ্জাম নেই। মানদণ্ড পূরণ না করায় ইতোমধ্যে ৭টি বেসরকারি মেডিকেল বন্ধ করে দিয়েছে অধিদপ্তর।
মান নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে চলতি শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তিতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা হয়। এরফলে ভর্তিজনিত অনিয়ম বন্ধ হয়েছে। এবার কলেজ স্কোরিং চালু হতে যাচ্ছে। একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, হাসপাতালে রোগী ভর্তি, লাইব্রেরি, অবকাঠামো, ল্যাব সুবিধাসহ বিবেচনা করা হবে ৫০টি বিষয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন বলেন, স্কোরিংয়ের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশের মধ্যে ৫০-৭৫ শতাংশ পর্যন্ত যেসব কলেজের স্কোর থাকবে সেগুলোর একটা মান থাকবে। আর ২৫-৫০ শতাংশের মধ্যে যেসব কলেজের স্কোর থাকবে সেগুলোর আরেকটা মান থাকবে। আর ২৫ শতাংশের নিচে যেসব মেডিকেল কলেজের স্কোর থাকবে, সেসব কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে।'
স্কোরিং হলে শিক্ষার্থীরা মান অনুযায়ী কলেজ বাছাই করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ভর্তির সিদ্ধান্ত নিতেও সুবিধা হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম জামাল বলেন, এখন এ পদ্ধতির পাইলটিং চললেও আগামী বছর এই স্কোরিং পদ্ধতিতেই ভর্তি শুরু হবে। এক্ষেত্রে 'এ', 'বি', 'সি' ক্যাটাগরি অনুযায়ী কলেজগুলোকে ভাগ করা হবে।
অটোমেশন পদ্ধতি চালু হওয়ায় এবার কয়েকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ফাঁকা ছিল। স্কোরিং চালু হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।