জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গবেষণা কক্ষ চালু

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-10-30 19:36:51
জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গবেষণা কক্ষ চালু

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জাতীয় জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গবেষণা কক্ষ উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জাতীয় জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গবেষণা কক্ষ উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লকে কক্ষ উদ্বোধন করেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। 

তিনি বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার বিশ্বজুড়ে মহিলাদের ক্যান্সারের মধ্যে চতুর্থতম এবং ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর চতুর্থতম শীর্ষ কারণ। এছাড়া, স্তন ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী এবং বাংলাদেশে উভয় ক্ষেত্রেই শীর্ষস্থানীয় ক্যান্সার। বাংলাদেশে নারীদের মৃত্যুর প্রধানতম দুটি কারণ হল জরায়ুমুখ ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিয়ে গবেষণা করছে বিএসএমএমইউ। গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগও অনেক গবেষণা করছে। জাতীয় জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গবেষণা কক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্রোভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহামন, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক, প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা, গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শিরিন আক্তার বেগম, অধ্যাপক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, করোস্কোপিস্ট ডা. সাদিয়া মাহবুবা রিপাসহ বিএসএমএমইউ’র অন্যান্য চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও নার্স উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জানায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর নতুনভাবে প্রায় ৮,২৬৮ জন মহিলা জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং ৪৯৭১ জন মহিলা মারা যায়। একইভাবে বাংলাদেশে প্রতিবছর নতুনভাবে প্রায় ১৩০২৮ জন মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং ৬৭৮৩ জন মহিলা মারা যায়। জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর বেঁচে থাকা অনেকাংশে নির্ভর করে, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় ও কার্যকরী চিকিৎসা প্রদানের উপর। দেরীতে রোগ সনাক্তকরণ হলে সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা দেখা কঠিন বিষয়। এতে মৃত্যু ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই এসব রোগের চিকিৎসা সুবিধা সীমিত ও ব্যয়বহুল। প্রাথমিক পর্যায়ে জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করা গেলে মৃত্যু সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।

জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং কর্মসূচির আওতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সিংগাইর, মানিকগঞ্জ, রায়পুরা, নরসিংদী এ এইচপিডি পাইলট প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালে ৩০-৬০ বছর বয়সী মহিলাদের এইচপিভি নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই সকল নমুনা নিয়ে গবেষণা করা হবে। যার ফলে বাংলাদেশের মহিলাদের জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার চিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।


আরও দেখুন: