বাংলাদেশে স্ট্রোক রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বি-ব্লকে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষ্যে নিউরোলজি বিভাগ আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনার
নানা কারণে বাংলাদেশে স্ট্রোক রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রোববার (২৯ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বি-ব্লকে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষ্যে নিউরোলজি বিভাগ আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্ট্রোক প্রতিরোধে খাবারে তেল ও লবণের ব্যবহার কমানো, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকা, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও স্ট্রেস কমাতে নামাজ, উপাসনা বা মেডিটেশন করা অত্যন্ত জরুরি।
সেমিনারের আগে বি-ব্লক থেকে গণসচেতনামূলক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি শেখ রাসেল ফোয়ারা থেকে শুরু হয়ে বটতলা, এ-ব্লক, টিএসসি প্রদক্ষিণ করে ডি-ব্লক গিয়ে শেষ হয়।
এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ও নিউরোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটি অফ নিউরোলজিস্টস অফ বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব হেলাল ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি জনাব সমীর চন্দ্র।
আপডেটস অন দ্যা ম্যানেজমেন্ট অফ একিউট ইসকেমিক স্ট্রোক নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউর নিউরোলজি বিভাগের স্ট্রোক ডিভিশনের অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সবুজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. আনিস আহমেদ। সেমিনারে নিউরোলজি বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন ।
ভিসি অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, স্ট্রোকের রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হলে অনেক মৃত্যু ঠেকানোর পাশাপাশি বিকালঙ্গ রোধ করা যাবে। স্ট্রোকের রোগের চিকিৎসা করার চেয়ে স্ট্রোক প্রতিরোধ করা জরুরি। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। খাবারে লবণ না খাওয়া, ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করা, নিয়মিত শরীর চর্চা করা, স্ট্রেস না নেয়া, ধুমপান না করার উপর জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্ট্রোকের চিকিৎসার জন্য স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকের কায়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। এই সময়ের মধ্যে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হলে রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব কমানো সম্ভব। স্ট্রোক রোগীদের বিশেষ করে মাথায় রক্তক্ষরণ হলে জরুরি অপারেশন প্রয়োজন হয়। ইসকেমিক স্ট্রোক (রক্তবাহিকা নালিকা বন্ধ) হলে জরুরি অপারেশন করলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব।