ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত ঢামেক হাসপাতাল
যে কোনো দুর্যোগে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে গঠিত রেসপন্স টিম ও বাড়তি চিকিৎসকদের ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দিতে বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে যে কোনো দুর্যোগে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে গঠিত রেসপন্স টিম ও বাড়তি চিকিৎসকদের ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, ঢামেক হাসপাতাল সবসময় প্রস্তুত। ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে অনেক হতাহতের সংবাদ জানতে পেরেছি। তাই হাসপাতালের রেসপন্স টিম ও বাড়তি চিকিৎসকদের জরুরি বিভাগে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসাসেবায় সব ধরনের ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হবে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে যাত্রীবাহী ট্রেনে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় শেষ খবরও পাওয়া পর্যন্ত ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেক মরদেহ ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। একইসময় ভৈরব থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ট্রেন এগারো সিন্ধুর। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়।