নারী চিকিৎসককে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-10-16 19:55:02
নারী চিকিৎসককে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ

নারী চিকিৎসককে ডিবি পরিচয়ে হেনস্তা ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মানবকল্যাণ মডেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সের এমডি একাব্বর হোসেন শান্তকে আটক করেছে পুলিশ

নারী চিকিৎসককে ডিবি পরিচয়ে হেনস্তা ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মানবকল্যাণ মডেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সের এমডি একাব্বর হোসেন শান্তকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে এই তথ্য নিজ ফেসবুক টাইম লাইনে শেয়ার করেছেন চিকিৎসকদের সংগঠন টিম বিডিএফ এর প্রতিষ্ঠাতা ডা. নিরুপম দাশ।   

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিবি পরিচয়ে হেনস্তা ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গত ৮ অক্টোবর রাতে  একাব্বর হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী চিকিৎসক। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন- মূল অভিযুক্ত একাব্বর হোসেন শান্তর স্ত্রী রহিমা বেগম (৩০) ও বালিতিতা রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী ও হাসপাতালের স্টাফ কল্পনা বেগম (২৮)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে স্থাপিত মানবকল্যাণ মডেল হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন ওই নারী চিকিৎসক। গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকা জোনের ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ওই চিকিৎসকের ভ্যানিটি ব্যাগে হেরোইন জাতীয় বস্তু দিয়ে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে ব্লাক মেইল করে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রাতভর একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় ওই চিকিৎসককে। এ সময় ওই নারী চিকিৎসককে কু-প্রস্তাব দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন হাসপাতালের এমডি একাব্বর হোসেন শান্ত। পরে বিষয়টি অন্যদের জানানোর চেষ্টা করেন ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসক। কিন্তু ঘটনার সকল সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণ নষ্ট করে দেন হাসপাতালের এমডি একাব্বর হোসেন শান্ত। এসব ঘটনায় তার স্ত্রী রহিমা বেগম ও হাসপাতালের স্টাফ কল্পনা বেগম সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ নারী চিকিৎসকের। 

প্রসঙ্গত: নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ মশিউর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৪ অক্টোবর মানবকল্যাণ মডেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যান  লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কে এম শাহাব উদ্দিন। তাঁর পরিদর্শনকালে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি থাকলেও সেখানে কোন ডাক্তার ছিলেন না। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়ম থাকায় হাসপাতালটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।


আরও দেখুন: