ন্যায্য ভাতার দাবিতে ডিপ্লোমা নার্সদের কর্মবিরতি

ডক্টর ডেস্ক
2023-10-05 15:48:35
ন্যায্য ভাতার দাবিতে ডিপ্লোমা নার্সদের কর্মবিরতি

ইন্টার্নশিপরত নার্সদের কর্মবিরতি কর্মসূচি

সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাদান প্রতিষ্ঠানে সেবাদানের বিপরীতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাতা দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন ইন্টার্নশিপরত নার্সরা।

তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দাবি জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্ন নার্সদের নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাতা মঞ্জুরির পরও অদৃশ্য কারণে সেগুলো পাচ্ছেন না তারা। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাসা ভাড়া ও থাকা-খাওয়াসহ নানান সংকটে নার্সরা দিনাতিপাত করছে বলেও জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি চলাকালে তারা এ কথা বলে।

এ সময় বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিআইএনএ) সভাপতি পিয়া হালদার বলেন, আমরা তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্স সম্পন্ন করে বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে ইন্টার্ন নার্স হিসাবে কর্মরত আছি।

কোর্স কারিকুলাম অনুযায়ী ছয় মাস মেয়াদি ইন্টার্নশিপ শুরু করার জন্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে শিক্ষা শাখা থেকে ২০২২ সালের ৭ আগস্ট প্রকাশিত এক স্মারকে প্রশাসনিক অনুমতি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সেই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর অন্য আরেকটি স্মারকে ইন্টার্ন নার্সদের স্যালারি মঞ্জুরির জন্য একটি পত্র পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের বাজেট অধিশাখায় পরবর্তী সময়ে ইন্টার্ন ভাতা বরাদ্দ ও মঞ্জুরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুনরায় অনুরোধ জানিয়ে পত্র পাঠানো হয়। তবে আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের ইন্টার্ন ভাতা বাবদ কোনো বরাদ্দ পাইনি। আমাদের লগবুকে ইন্টার্ন ভাতার কথা উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও আমরা কোনো ভাতা পাচ্ছি না। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং নার্সিং অধিদপ্তর বরাবর বারবার অ্যাপ্লিকেশন নিয়েও আমরা আমাদের ন্যায় অধিকার পাচ্ছি না।

বিডিআইএনএর মহাসচিব আশিকুর রহমান অনিক বলেন, নার্সিংয়ে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীই মেয়ে। আমাদের সপ্তাহে দুইদিন করে মর্নিং, ইভিনিং ও নাইট ডিউটি করতে হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের কোনো হোস্টেলের সুবিধা নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজার, বাসা ভাড়া, থাকা-খাওয়া, যাতায়াত ও হাত খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে ৮-১০ হাজার টাকা চলে যায়। ইন্টার্ন ভাতা না পাওয়ায় আমাদের নিম্নমানের বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে। সেখানে আমাদের মেয়েদের নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাসা থেকে টাকা এনে ইন্টার্নশিপ করাটাও আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতির পথ বেছে নিতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ভাতা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন সারাদেশের সরকারি ইন্টার্ন নার্সরা। যতদিন পর্যন্ত এই ন্যায্য দাবি আদায় না হবে, ততদিন পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দিয়েছেন ইন্টার্ন নার্স ও মিডওয়াইফরা।


আরও দেখুন: