'হৃদরোগ প্রতিরোধে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধ করা জরুরি'
বিশ্ব হার্ট দিবসে উপলক্ষে গনমুখী সেমিনারে অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত
অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, বিশ্ব হার্ট দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ভালোবাসা দিয়ে প্রতিটি হৃদয়ের যত্ন নিন’। তাই প্রত্যেক চিকিৎসককে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। যাতে রোগীরা চিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেই মনের মধ্যে প্রশান্তি লাভ করতে পারেন।
বর্তমানে দেশে অসংক্রামক রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেছেন, এর মূল কারণ আমাদের জীবনাচরণে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে, যা মানবদেহের জন্য কল্যাণকর নয়। তাই হৃদরোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, চিনিযুক্ত পানীয় পরিহার, ফলমূল খাওয়া, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধ এবং শারীরিক পরিশ্রম করা জরুরি।
বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, হার্ট সম্পর্কে সীমিত জ্ঞান ও এ সম্পর্কিত নীতির ঘাটতির কারণে হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া অনেক সময় সম্ভব হয় না। ফলে দেশে বাড়ছে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর সংখ্যা। অথচ জীবনাচরণে কিছু পরিবর্তন আনলে এ মরণব্যাধী অনেকটা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী) বলেন, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারের সঙ্গে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, রিসলভ টু সেইভ লাইভস ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এছাড়া সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক ডা. ইউনুছুর রহমান।
এবারের বিশ্ব হার্ট দিবসকে সামনে রেখে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে বর্ণ্যঢ্য র্যালি, সেমিনার, ফ্রি হার্ট ক্যাম্প, সচেতনতামূলক পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। এছাড়া ঢাকার বাইরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের ৪৫টি অধিভুক্ত সমিতিও (এফিলিয়েটেড বডি) দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিবসটি উদযাপন করেছে।