শিশু হৃদরোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে কাজ করছে বিএসএমএমইউ

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-09-30 17:16:54
শিশু হৃদরোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে কাজ করছে বিএসএমএমইউ

বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএসএমএমইউর হৃদরোগ বিভাগ ও শিশু হৃদরোগ বিভাগ আয়োজিত সিএমই

শিশু হৃদরোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে কাজ করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। শিশুরা যাতে রোগে না ভোগেন, শিশুরা যাতে ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ না করে সেজন্য মাতৃগর্ভে থাকতেই তা স্ক্রিনিং করে চিকিৎসাসেবা দেয়া কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হৃদরোগ বিভাগে ইতোমধ্যে ৭ শতাধিক শিশুর হৃদরোগের অপারেশন করা হয়েছে।

বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগ ও শিশু হৃদরোগ বিভাগ আয়োজিত সিএমইতে এসব কথা বলেন তিনি। 

কর্মসূচির শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-ব্লকের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে সি-ব্লক অতিক্রম করে বেসিক সাইন্স ভবন, টিএসসি ও এ-ব্লক ঘুরে বি-ব্লকের সামনে শেখ রাসেল ফোয়ারায় গিয়ে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগ ও শিশু হৃদরোগের বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, কর্মকর্তা ও নার্সরা অংশগ্রহণ করেন।

পরে শহীদ ডা. মিলন হলে সিএমই অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সব হার্টের রোগীর ইন্টারভেনশন প্রয়োজন নেই। ইদানিং একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে, তাদের কাছে রোগী আসলেই অপারেশন (ইন্টারভেনশন) করা। চিকিৎসা সেবা প্রদানে অবশ্যই চিকিৎসকদের ইথিকস মেনে চলতে হবে।

সিএমইতে বলা হয়, প্রতি দেড় সেকেন্ডে ১ জন লোক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশে প্রতিবছর ৫ লাখ ৭২ হাজার ৬০০ জন লোক নন কমিউনিক্যাবল ডিজিজেসে মৃত্যুবরণ করেন। তার মধ্যে ৩০ শতাংশ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বক্তারা বলেন, হার্ট ব্লক হলেই ইন্টারভেনশন করা যাবে না। অনেক হার্ট ব্লক আছে যেসব ওষুধের দ্বারা ভাল রাখা যায়। হৃদরোগ প্রতিকারের চেয়ে সবাই প্রতিরোধের দিকে অধিক গুরুত্বারোপ করেন। এজন্য নিয়মিত ৩০ মিনিট হাটার পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়াও নিয়মিত ঘুম, লবণ না খাওয়া, স্ট্রেস না থাকা ও ধুমপান না করলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। ধুমপান নিরোধের আইন প্রয়োগ করা কথা জানানো হয়। বর্তমানে দেশের হৃদরোগীর ব্যাস্থাপনা খুব ভাল হওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মৃত্যুর যেসব কারণ রয়েছে তার মধ্যে হৃদরোগ ১ নম্বর থেকে ৪ নম্বরে নেমেছে। হৃদরোগের প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো সঠিক নিয়মে দৈনন্দিন জীবনযাপন করা। হাসি খুশি থাকাও হৃদরোগে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বর্তমানে জীবনে শান্তি কামনায় মেডিটেনশ কাজ করে। শান্তিময় জীবন যাবনে আধুনিক বিশ্বে মেডিটেশনকে গুরুত্ব দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. চৌধুরী মেশকাত আহমেদ ও প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান।

প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে মতামত প্রদান করেন ইউজিসি অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক, শিশু হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. এসএম ইয়ার ই মাহাবুব, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রসুল আমিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি ও পেডিয়াট্রিক কার্র্ডিয়াক সার্জারি ইউনিট স্থাপন প্রকল্প পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাখাওয়াত আলমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. জাহানারা আরজু।


আরও দেখুন: