ঢাকায় আন্তর্জাতিক হেলথকেয়ার মেলা চলছে

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-09-29 16:50:22
ঢাকায় আন্তর্জাতিক হেলথকেয়ার মেলা চলছে

রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে চলছে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হেলথকেয়ার এক্সপো-২০২৩

রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে চলছে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হেলথকেয়ার এক্সপো-২০২৩। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেলা উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শারফুদ্দিন আহমেদ।

মেলায় বাংলাদেশসহ ভারত, ইরান, তুরস্ক, থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ার হাসপাতালসহ ৩০টির বেশি হাসপাতাল ও হেলথকেয়ার পরিষেবা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এ মেলা চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এই মেলা চলছে। মেলাতে দর্শনার্থীদের জন্য বিনামূল্যে পরিদর্শনের সুযোগ রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল হেলথকেয়ার এক্সপোর আয়োজক মুরাদ হোসাইন, এমপ্যাথি সলিউশনের (ইন্ডিয়া) ডিরেক্টর দালিপ কুমার চোপড়া, এনএবিএইচের প্রশিক্ষক ডা. শক্তি দত্ত শর্মা, বামরুনগাদ হসপিটাল থাইল্যান্ডের সিবিও রাজিব রাজন, মেদান্তা হাসপাতাল ইন্ডিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নবনীত মালহোত্রাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন বলেন, এক্সপোতে ৮ থেকে ১০ টি বৈজ্ঞানিক সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের নানা ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মিলবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রসার ঘটেছে। এক্ষেত্রে  বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। ফলে সুযোগ এসেছে দেশের বাইরে থেকেও বাংলাদেশে এসে কম খরচও চিকিৎসা সেবা নেওয়ার।

বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কিডনি প্রতিস্থাপন, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের সুচিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। অন্যান্য দেশের মানুষ চাইলে বাংলাদেশে এসে কম খরচে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন বলেন, অনেকেই মেলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চান। আমি বলতে চাই এই মেলার উদ্দেশ্য বিভিন্ন দেশের হাসপাতাল ও মেডিকেল প্রযুক্তি এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ ও পারস্পরিক প্রযুক্তি বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হবে। যার ফলে নিজের প্রয়োজনে জেনে শুনে মানুষ যেমন দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যেতে পারবে, একইভাবে যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে সেসব চিকিৎসা বাংলাদেশে এসে নেওয়া সুযোগ পাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দুই দিনব্যাপী কয়েকটি সেশনে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের অংশ গ্রহণে বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও চিকিৎসক, মেডিকেল ভ্যালু ট্রাভেল ফ্যাসিলিটেটর, স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকছে ।

মেলাতে পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ প্রযুক্তি, পণ্য এবং পরিষেবা প্রদর্শন করা হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসেবা/পেশাজিবীদের সাথে বিশ্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসা উদ্ভাবন তথ্য আদান-প্রদান, স্বাস্থ্য সেক্টরে পারস্পরিক সহায়তা, নলেজ শেয়ারিং, টেকনোলজি ট্রান্সফারের সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ এবং এর বাইরেও স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যত গঠনে সহায়তা করবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। 


আরও দেখুন: