রোগীদের আস্থার নাম ময়মনসিংহ মেডিকেলের হৃদরোগ বিভাগ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল (ইনসেটে বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ পাল)
ময়মনসিংহ ও আশপাশের জেলার হৃদরোগীদের আস্থার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম রয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগ। সীমিত সুযোগ সুবিধা নিয়েই জটিল হৃদরোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন বিশেষায়িত বিভাগটির চিকিৎসকেরা। সুদক্ষ হাতে যার নেতৃত্বে দিচ্ছেন বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ পাল। সম্প্রতি ডক্টর টিভির সঙ্গে মমেকের হৃদরোগ বিভাগের বিদ্যমান সেবা ও সুবিধা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
৭০ শয্যা বিশিষ্ট হৃদরোগ বিভাগে নিয়মিত ৩ শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন মমেকের হৃদরোগ বিভাগে। দিনরাত ২৪ ঘন্টা যেকোন সময় রোগী এলেই ভর্তি করা হয়। সাধারণতঃ কখনই রোগীকে বিনা চিকিৎসায় ফেরত দেয়া হয় না।
ডা. গোবিন্দ পাল জানান, মমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ক্যাথল্যাব। ফলে এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি, রিং পরানো, পেসমেকার স্থাপনসহ হৃদরোগের জটিল ও উন্নত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন রোগীরা।
ডা. গোবিন্দ পাল আরও জানান, রোগীদের প্রত্যাশিত স্বাস্থ্য সেবাকে দ্রুত ও সহজ করতে ডিজিটাল পদ্ধতিসহ অটোমেশন চালু করা হয়েছে মমেকের হৃদরোগ বিভাগে। এরফলে রোগীরা নানাবিধ সেবা পাচ্ছেন।
সেবাগুলো হল:
১। এর মাধ্যমে হাসপাতালে আগত সকল রোগীর তথ্য সংরক্ষিত ও পরবর্তীতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসক পেয়ে যাবেন পূর্বের সকল তথ্য।
২। রোগী খুব সহজে সকল পরীক্ষার রিপোর্টের কপি নিতে পারবেন।
৩। দ্রুত সময়ে সার্ভিস।
৪। রোগীর কাগজপত্র নিয়ে হয়রানি কমেছে ।
৫। পরীক্ষার বা ভর্তির টাকা পরিশোধ বিষয়ক জটিলতা কেটেছে।
৬। চিকিৎসকেরা এই তথ্য ভান্ডার থেকে বিভিন্ন গবেষণা ও যে কোন রোগের প্রাদুর্ভাব কোন এলাকায় বেশি, ইত্যাদি সম্বন্ধে জানতে পারছেন।
৭। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন চাহিদা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। আইনি সমস্যায় সহায়ক।
মমেকের হৃদরোগ বিভাগের সীমাবদ্ধতাঃ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে আগত রোগীদের জন্য জন্য সার্জারির কোন ব্যবস্থা নেই। এ ধরনের জরুরী রোগীদের ঢাকায় রেফার্ড করা হয়ে থাকে।
মমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ। অন্তত ২৫ জন বিশেষ চিকিৎসক এখানে কর্মরত আছেন। তবে, প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক কম।
তবে, সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত দক্ষ ক্যাথল্যাব রেডিওগ্রাফার না থাকায় কাজে সমস্যা হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ পাল জানান, মমেক হাসপাতালের হৃদরোগীদের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালসহ অন্যান্য উন্নত সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকদের এনে বিভিন্ন সময়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এতে রোগীদের উন্নত সেবাদানের পাশাপাশি বিভাগের চিকিৎসক, রেসিডেন্ট ও এফসিপিএস কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে।