ফুসফুসের রোগে বিশ্বে এক বছরে ৪ কোটি লোক মারা যায়
বিশ্ব ফুসফুস দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিএসএমএমইউয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান
এক বছরে বিশ্বের ৪ কোটি লোক ফুসফুসের রোগে মারা যায় বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) ও রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর ৪৫ কোটি লোক ফুসফুসের রোগে ভোগে। ৪ কোটি লোক মারা যায়। ফুসফুসের রোগ এখন মৃত্যুর তৃতীয় কারণ। বিশ্ব ফুসফুস দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল ফুসফুস কে ভালো রাখা। ফুসফুস আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই ফুসফুসকে ভালো রাখার জন্য জনসচেতনতা তৈরী করা ফুসফুস দিবসের মূল উদ্দেশ্য।
বিশ্ব ফুসফুস দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিএসএমএমইউয়ে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারসহ নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। ধূমপান বন্ধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন ও জোরদার করতে হবে। সুস্থ ফুসফুসের জন্য প্রয়োজন বিশুদ্ধ অক্সিজেন। তাই পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিশ্চিত করতে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। ফুসফুসের রোগ বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রমও জোরদার করতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ও জীবন রক্ষায় ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে হবে।
বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বক্ষব্যধি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজাশিস চক্রবর্তী ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলাম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডা. ছন্দা সুলতানা ডোরা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর পরিচালক (মার্কেটিং অপারেশন্স) মোঃ মুহসিন মিয়া। এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর সহায়তায় অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রা ও সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ প্রমুখসহ রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।