ডেঙ্গু রোগীর জীবনরক্ষায় ভূমিকা রাখছে এফেরেসিস প্লাটিলেট 

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-09-20 11:02:49
ডেঙ্গু রোগীর জীবনরক্ষায় ভূমিকা রাখছে এফেরেসিস প্লাটিলেট 

বাংলাদেশে প্রথমবারের মত বিশ্ব এফেরিসিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠান

বর্তমানে এফেরেসিস প্লাটিলেট ডেঙ্গু রোগীদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে প্রথমবারের মত বিশ্ব এফেরিসিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।  

সেখানে আরও বলা হয়, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের এফেরেসিস ইউনিটে বিগত দশ বছর ধরে বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে এফেরেসিস প্লাটিলেট, যা ডেঙ্গুসহ অন্যান্য রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে এফেরেসিস প্লাটিলেট ডেঙ্গু রোগীদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিশেষ করে যেসকল ডেঙ্গু রোগীর এফেরেসিস প্লাটিলেটের প্রয়োজন হয়। এই বিভাগ থেকে করোনাকালীন সময়ে কনভালেসেন্ট প্লাজমা সংগ্রহ এবং কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য সরবরাহ করা হয়েছে। বন্ধ্যাত্বসহ অন্যান্য রোগীদের জন্য স্টেম সেল সংগ্রহ ও চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করা হচ্ছে। লিভার ডায়ালেসিস সেবা দেওয়া হচ্ছে। থেরাপিউটিক প্লাজমা এক্সচেঞ্জ চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে গুলেন বারী সিনড্রম, মাইয়েসথেনিয়া গ্রেভিস, রেনাল এলোগ্রাফট রিজেকশন, এসএলই উয়িথ আরপিজিএন, ক্রোনিক ইনফ্লামেটারি ডিমাইলেটিং পলিনিউরোপ্যাথি, ট্রান্সভারস মাইলাইটিস, মাল্টিপোল মাইলোমা, ফ্যামেলিয়ার হাইপারলিপিডিমিয়া, এটিপিক্যাল হিমোলাইটিক ইরেমিক সিনন্ড্রম, ডিকমপেনসেটেট লিভার সিরোসিস, থ্যাইমোমা, সিকেল সেল ডিজিস, গ্রেভস ডিজিস, এ্যাকুট অন ক্রোনিক লিভার ডিজিস ইত্যাদিতে আক্রান্ত রোগীদের প্লাজমা এক্সচেঞ্জ করা হচ্ছে।

এফেরেসিস সচেতনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। 

সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ সাইফুল ইসলাম শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ঐ সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম।

অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিটি দিবসের উদ্দেশ্য থাকে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৮ অক্টোবর ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ উদ্বোধন করেন। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ও রোগীদের জীবন বাঁচাতে রক্তের বিরাট অবদান রয়েছে। সে কারণেই বঙ্গবন্ধু জনসাধারণের রক্তদানে যেমন এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন, একই সাথে রক্ত নিয়ে গবেষণার প্রয়োনীয়তাও অনুভব করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা বর্তমানে রক্ত নিয়ে প্রচুর গবেষণা করছেন। যার কারণে রক্তের মাধ্যমে বর্তমানে অনেক জটিল জটিল রোগের সেবা বাংলাদেশেই দেয়া সম্ভব হচ্ছে। সে কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন গবেষণার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। গবেষণা খাতে বরাদ্দ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই গবেষণার সুফল হিসেবে রোগ প্রতিরোধে যেমন ভূমিকা রাখবে, তেমন সর্বাধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে রোগীদের রোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএসএমএমইউর ভিসি বলেন, রক্তদানে কোনো ক্ষতি নেই বরং রক্তদানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে রক্তদানের ক্ষেত্রে নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের বিষয়টি মনে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ রক্তদানের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে।

আলোচনা সভায় অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, এই বিভাগে আরো অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সংযোজন করা হচ্ছে। যার ফলে রক্তরোগে আক্রান্ত কোনো রোগীকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। আলোচনা সভায় অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান, সহকারী অধ্যাপক ডা. সোনিয়া শারমিন, গবেষণা সহকারী ডা. খান আনিসুল ইসলাম, মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফিরোজা বেগম, ডা. সুর্বণা সাহা, ব্লাড প্রোগ্রাম অফিসার ডা. নাদিয়া শারমিন তৃষা, কাউন্সিলর ও মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক সুব্রত বিশ্বাস, চীফ রেসিডেন্ট ডা. খাদিজাতুল কোবরা, সিনিয়র রেসিডেন্ট ডা. মেহেদী হাসান, ডা. রনি রায় প্রমুখ ছাত্র-ছাত্রী, অত্র বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের 


আরও দেখুন: