৭৪৫ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুকে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট স্থাপন করেছে বিএসএমএমইউ
শহীদ ডা. মিল্টন হলে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস বিতরণ করেন বিএসএমএমইউ ভিসি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উদ্যোগে ৭ শত ৪৫ জন সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন।
শনিবার বেলা ১১টায় (২ সেপ্টেম্বর) নতুন করে ২১ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী অস্বচ্ছল রোগীকে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট এক্সটার্নাল ডিভাইস বিতরণকালে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
এ উপলক্ষে শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রকল্পের কর্মসূচি পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচএম জহুরুল ইসলাম সাচ্চু।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে বহুমুখী কর্মসূচী হাতে নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এই সরকারের আমলে অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসাসহ তাদের সার্বিক উন্নয়নে যে কর্মসূচী বাস্তবায়ন হয়েছে তা বিশ্বের জন্য উদাহরণ। একইভাবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী বা সম্পূর্ণ বধির শিশুদের জন্য যেভাবে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে তাও বিশ্বের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রীর অবদানের কারণেই সুস্থ সুন্দর জীবন ফিরে পাচ্ছে প্রতিবন্ধী শিশুরা।
বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস এর মূল্য একটি টয়েটা গাড়ির সমান। যা বর্তমান সরকারের আমলে বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইসকে সার্জারি মাধ্যমে কর্ণে স্থাপনের জন্য বিএসএমএমইউয়ে রয়েছে একটি সু দক্ষ সার্জারি টিম। তারা সফলভাবে এই মহতী কাজটি সম্পন্ন করে যাচ্ছেন। যে সকল শিশুরা কানে শোনেন না, তারা কথাও বলতে পারেন না। এখানে তাঁদের স্পীচ থেরাপিস্টদের মাধ্যমে কথা শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে এ সকল শিশুরা কানে শুনতে পারছে, কথা শিখে কথা বলতে পারছে এবং লেখাপড়া পর্যন্ত শিখছে। ফলে তারা সুস্থ ও সুন্দর জীবনে ফিরতে পারছে। এ পর্যন্ত ৭ শত ৪৫ জন সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাদের প্রায় সকলেই শিশু।