কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১০ নির্দেশনা
কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১০ নির্দেশনা জারি
কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রশাসন-১ শাখা থেকে এ সব আদেশ জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, বৈদেশিক সরকার/প্রতিষ্ঠান/উন্নয়ন/উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত পেশাগত প্রশিক্ষণ/ সেমিনারে অংশগ্রহণ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে গত ২ মে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহীত উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তসমূহ নিম্নরূপ :
১. পবিত্র হজ পালনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০দিন ও ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ দিন ও তীর্থ স্থান পরিদর্শনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬দিন ছুটি মঞ্জুরের আবেদন অগ্রায়ন করতে হবে।
২. ছুটি মঞ্জুরের আবেদন অগ্রায়নের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারী সংস্থা/অর্থায়নকারী সংস্থার সক্ষমতা ও প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদি যাচাই করতে হবে।
৩. ছুটি নিয়ে বিদেশ গিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফিরে আসতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফিরে না আসলে তাদের ছুটি ভুতাপেক্ষভাবে মঞ্জুরের ক্ষেত্রে আরও কঠোর হতে হবে। প্রয়োজনে এক্ষেত্রে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. তৃতীয় পক্ষ বা কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যার সাথে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তার স্বার্থের সংশ্লেষ থাকতে পারে এমন কোন প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে কোন প্রশিক্ষণ/সেমিনারে অংশগ্রহণের আবেদন অগ্রায়ন করা যাবে না।
৫. বৈদেশিক প্রশিক্ষণ/সেমিনার/ প্রোগ্রাম/সিম্পোজিয়ামের কোন একটি প্রোগ্রামে আমন্ত্রণের ক্ষেত্রে একই সাথে বা আলাদা আলাদাভাবে একই প্রতিষ্ঠান হতে একাধিক কর্মকর্তার অংশগ্রহণের আবেদন অগ্রায়ন করা যাবে না।
৬. বৈদেশিক প্রশিক্ষণ/সেমিনার/ প্রোগ্রাম/সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ শেষে সকলকে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিবৃত করে একটি প্রতিবেদন ১০ কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে (যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে) দাখিল করতে হবে। সরকারি আদেশে বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে। যারা এরূপ প্রতিবেদন দাখিল করবেন না, তাদেরকে ভবিষ্যতে বিদেশে কোন প্রোগ্রামের জন্য বিবেচনা করা যাবে না।
৭. বৈদেশিক প্রশিক্ষণ/সেমিনার/ প্রোগ্রাম/সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণে অগ্রায়নের ক্ষেত্রে কোন কর্মকর্তার কেন অংশগ্রহণ করা যৌক্তিক এবং এর ফলে দেশের সামগ্রিক কল্যাণের বিষয়টি প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ অগ্রায়নপত্রে উল্লেখ করতে হবে। অথবা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক সুপারিশকৃত একটি প্রত্যয়ন কর্মকর্তার আবেদনের সাথে দাখিল হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশ ছাড়া কোন কর্মকর্তা সরাসরি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে তা বিবেচনা করা হবে না।
৮. বৈদেশিক প্রশিক্ষণ/সেমিনার/ প্রোগ্রাম/সিম্পোজিয়ামে দলগতভাবে অংশগ্রহণকালে দলনেতার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। কর্মসূচির স্থল ত্যাগ করতে হলে অথবা কর্মসূচির পর বেশিদিন অবস্থান করার প্রয়োজন হলে পূর্বে অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
৯. বৈদেশিক প্রশিক্ষণ/সেমিনার/ প্রোগ্রাম/সিম্পোজিয়ামে বিদেশে অবস্থানকালে/সফরকালে এমন কোন আচরণ বা কর্মকাণ্ড করা যাবে না, যাতে দেশে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। তাছাড়া স্থানীয় কোন আইন ভঙ্গ হয়, এমন কোন কর্মকান্ড যেমন- রাজনৈতিক সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজন করা যাবে না।
১০. রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে উপরে উল্লিখিত যেকোন শর্ত শিথিল বা পরিবর্তন বা পরিমার্জন প্রয়োজন হলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ তা সংরক্ষণ করবে।
>> বিদেশ ভ্রমণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১০ নির্দেশনা দেখতে ক্লিক করুন <<