বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সংক্রান্ত নির্দেশনায় যা বলা আছে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সুনির্দিষ্ট বিধিমালা মেনে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান তথা ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের লাইসেন্স নবায়ন কিংবা নতুন লাইসেন্স তৈরি করতে পারেন মালিকপক্ষ। ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাসপাতাল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই বছর ৫ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তরের দেয়া সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই মর্মে সকল বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের মালিক ও নতুন আবেদনকারীদের অবহিত করা যাচ্ছে যে,
(ক) এখন থেকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক যেখানে অপারেশনের সুবিধা আছে, ঐসব প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স নবায়নের সময় কিংবা নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদনের সময় অবশ্যই নারকোটিক লাইসেন্সের কপি জমা দিতে হবে।
(খ) বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের নতুন লাইসেন্স কিংবা নবায়নের আবেদনপত্র সরাসরি পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) এর দপ্তরে জমা দিয়ে রিসিভ সংগ্রহ করতে হবে। জমা দেয়ার তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নতুন লাইসেন্স ইস্যু কিংবা নবায়ন না হলে সরাসরি পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা যাবে। নতুন লাইসেন্সের ফরম ও আবেদন ফরম উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-২) এর দপ্তর থেকে বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যাবে।
(গ) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের নতুন লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের অনুমোদনের পর নতুন লাইসেন্স অনুমোদন করবে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ)।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের লাইসেন্স নবায়ন হবে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) এর দপ্তর থেকে। বিভাগীয় পরিচালক কিংবা সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে এসব লাইসেন্স নবায়ন হবে না।
উপরোক্ত বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের পরিচালক ও হসপিটাল সার্ভিসেস এর লাইন ডাইরেক্টর ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন পিএইচডি।