এসেনসিয়াল ড্রাগসের অর্থ লোপাট, অনুসন্ধান অব্যাহত রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
এসেনসিয়াল ড্রাগস
এসেনসিয়াল ড্রাগসে ৪৬৭ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা স্বাধীনভাবে অনুসন্ধান অব্যাহত রাখতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশপাশি অনুসন্ধান শেষে আদালতকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
জারি করা রুল নিষ্পত্তির শুনানিতে এসেনসিয়াল ড্রাগসের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু ও অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এর আগে, গত ১২ মার্চ দেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের সরকারি অডিটে ৩২টি অনিয়ম ও ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুদককে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সরকারি অডিটে ৩২ অনিয়ম, ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাট’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ এক সরকারি অর্থ লুটপাটের স্বর্গরাজ্য। ক্যান্টিন বন্ধ, কিন্তু ভর্তুকির বিল তোলা হয়েছে। কাঁচামালের তুলনায় ওষুধের উৎপাদন কম দেখিয়ে করা হয়েছে তছরুপ। এ ছাড়া বিধি লঙ্ঘন করা হয় টেন্ডার প্রদান ও বিনা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগে। উচ্চমূল্যে বিভিন্ন জিনিস কিনে সরকারি অর্থ লুটপাট, সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ প্রদান না করে ভাগাভাগির মাধ্যমে সরবরাহকারীদের কার্যাদেশ প্রদান পূর্বক মালামাল ক্রয় সংস্থার আর্থিক ক্ষতিসহ নিরীক্ষায় বিভিন্ন খাতে অনিয়ম উঠে আসে।