৫ শর্তে কাজে ফিরছেন বেসরকারি পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন (ক্রাব) মিলনায়তনে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন
৫ শর্তে আগামী শনিবার থেকে কাজে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন (ক্রাব) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুন্নবী সহ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৬ জুলাই (রোববার) শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বেসরকারি পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এরপর ১৭ই জুলাই (সোমবার) বিএমএ প্রেসিডেন্ট ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া স্যারের সাথে পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
১. বেসরকারি পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২৫ হাজার করা হবে এবং সেটা এই জুলাই মাস থেকেই কার্যকর হবে।
২. ভাতা প্রতি মাসে দেয়া হবে এফসিপিএস ট্রেইনিদের।
৩. সাপ্তাহিক ২ কর্মদিবস ছুটি দেয়া হবে এবং প্রাইভেট প্র্যাকটিসে কোনো বাধা দেওয়া হবে না (সিন্ডিকেট মিটিং এ পাশের পর)।
৪. আন্দোলনরত অবস্থায় একাডেমিক অনুপস্থিতির জন্য কোন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না।
৫. আগামী জানুয়ারি থেকে আরেক ধাপ ভাতা বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভাতা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবিতে আন্দোলনকারী বেসরকারি পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা বলেন, স্যারদের প্রতিশ্রুতিগুলো মেনে নেওয়া ছাড়া তাদের আর কোন উপায়ই ছিলো না।
কারণ, এই ২০হাজারের সাথে আর ৫ হাজার যুক্ত হওয়া মানে, বৃদ্ধ বাবা-মা’র ওষুধের খরচটা হলেও যুক্ত হওয়া, বাচ্চার প্যাম্পার্সের খরচ, স্কুলের বেতনের খরচ আর ধারদেনার পরিমাণ একটু হলেও কমা।
বৈঠকের আশ্বাস মেনে নেয়ার কারণ হিসেবে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা আরও বলেন, স্যারেরা কথা দিয়েছেন, আগামী ৬ মাস পর (জানুয়ারি ২০২৪) ভাতার টাকা আশানুরূপ বাড়ানো হবে। তখন যতো কিছুই হোক না কেন, এতে ওনারা আমাদের পক্ষে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শুধুমাত্র স্যারদের কথার উপর ভরসা করে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা বলেন পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।