দাবি আদায় করেই রাজপথ ছাড়ব : পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ঘোষণা
৫০ হাজার টাকা ভাতার দাবিতে আজও রাস্তায় ডাক্তাররা
আপনারা জানেন, আমরা প্রশিক্ষণরত চিকিৎসকরা সম্মিলিতভাবে চিকিৎসাখাতে আমাদের বাস্তবিক সমস্যা এবং প্রতিকূলতার কথা চিন্তা করে কিছু মৌলিক এবং যৌক্তিক দাবী নিয়ে সরব হয়েছি। এর যৌক্তিকতা আপনারা জানেন এবং এই প্রেক্ষিতে আপনারা সবাই আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছেন, দিয়ে যাচ্ছেন- আমরা এজন্যে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
কিন্তু এই সমর্থন আমাদের মূল সমাধান নয়। আমরা এর বাস্তবায়ন চাই।
আর তাই গত কয়েকদিনে, সময়ের প্রয়োজনে আমাদের এই যৌক্তিক দাবী সংক্রান্ত সবকিছু আপনারা দেখেছেন এবং আপনারা সব কিছু জানেন।
এই বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই।
আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আমাদের উপর লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, যেটা উপর মহলের নির্দেশে হয়েছে- সেটা সহজে প্রতিয়মান হয়। কারণ জুনিয়র ডাক্তাররা এইভাবে ন্যায্য অধিকার আদায়ে মাঠে নেমেছে, সেখানে সিনিয়রদের এখন পর্যন্ত কোন ধরনের একাত্নতা প্রকাশ তো করে নাই বরং বিভিন্ন সময় জুনিয়রদেরকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে,
এটা কত বড় লজ্জার ডাক্তার সমাজের জন্য।
যেখানে ২০২০ সালেই পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৩০ হাজার টাকা করার অনুমোদন দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে। সেখানে ২০২৩ সালে এসে ২৫ হাজার টাকা ভাতা দেয়ার প্রস্তাব করা কতটা অপমানজনক কতটা লজ্জার, সেটাও করা হয়েছে আমাদের সিনিয়রদের নির্দেশনায়। তারা এই ডাক্তার সমাজের সম্মান বাড়াতে চায় না। সবসময় অবদমিত করে রাখতে চায়।
এইটা আমাদের জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য খুবই লজ্জার এবং হতাশাজনক।
এখন পর্যন্ত আমাদের পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তারদের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণের প্রতিবাদে সারাদেশের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আমরা সমস্ত জুনিয়র এক হয়েছি আমাদের অধিকার আদায়ের দায়বদ্ধতায়।
আমরা এই রাজপথ ছাড়ব না, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এবং আমাদের উপর বর্বরোচিত আক্রমণের উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত।
আমাদের এখন একটাই কথা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চাই। তাছাড়া আমাদের কষ্টের কথা কেউ শুনবে না। ওনার কাছে আমরা আমাদের কষ্টে র কথা বলতে চাই।
পরিশেষে,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপাকে করজোরে অনুরোধ করবো,
জাতির পিতার হস্তক্ষেপ ছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি, আর আপনার হস্তক্ষেপ ছাড়া বর্তমানে কোন যৌক্তিক আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেনি। আপনার প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আগেও ছিল, এখনো আছে। আমাদের চিকিৎসকদের জন্যে আপনি এখনো পর্যন্ত যা করেছেন তা ইতিহাসে নজিরবিহীন।
কিন্তু আপা, আজ আমরা আর না পারতে আপনার কাছে এসেছি। আপনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, আপনার কর্মী হিসেবে নয়, আপনার ছেলে হিসেবে
দাবী নিয়ে এসেছি।
আমরা জানি আপনি আমাদের ফিরিয়ে দেবেন না।
চিকিৎসাখাতকে আরও এগিয়ে নেয়ার জন্যে আজকে আমাদের এই দাবী। আমরা চাই, বাংলাদেশের চিকিৎসাখাতকে বিশ্বদরবারে আরও উচু অবস্থায় নিয়ে যেতে। আপনি আমাদের তারিখ দিন - আমরা অপেক্ষায় আছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।