দাবি আদায়ে শাহবাগের সড়কে চিকিৎসকদের অবস্থান
শাহবাগের এক পাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা
অবশেষে শাহবাগের এক পাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগের রাস্তায় অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
রোববার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ডক্টর টিভিকে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সংগঠন পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুন্নবী।
চিকিৎসকদের অভিযোগ, সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গেট বন্ধ করে দিয়ে তাদের আটকে রাখার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসকরা ৩নং গেট দিয়ে বের হয়ে শাহবাগ অভিমুখে আসতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়।
অবশেষে দুপুর দেড়টা নাগাদ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিতে সক্ষম হন আন্দোলনকারীরা।মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার ঘোষণা না আসা পর্যন্ত রাস্তাতেই অবস্থান করবেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি, দীর্ঘ ৬ মাস ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভাতা বাড়ানোর দাবি করে আসছেন তারা। ইতোপূর্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিএমডিসি, বিএসএমএমইউ, বিসিপিএস-সহ সব জায়গায় স্মারকলিপি দিয়েছেন। বার বার আশ্বাস দিয়েও এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
এরআগে, শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ধর্মঘট ও কর্মবিরতি শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের নেতারা।
ওই সময় চিকিৎসক নেতারা বলেন, ইতোপূর্বে শাহবাগে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আশ্বাসে তা করিনি। আমাদের বারবার শুধু আশ্বাসই দেওয়া হয়েছে। কোনো বাস্তব রূপ আমরা দেখছি না। এ কারণে নতুন করে শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
প্রসঙ্গত: ভাতা বাড়ানোর দাবিতে শনিবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করে আসছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজ ও ইনস্টিটিউটের বেসরকারি রেসিডেন্ট/ননরেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) অধিভুক্ত এফসিপিএস এর পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডক্টররা। প্রথম দিন তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। পরদিন রোববার (৯ জুলাই) দ্বিতীয় দিন একইস্থানে অনশন কর্মসূচি পালন করেন। তৃতীয় দিন সোমবার (১০ জুলাই) দাবি জানাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা। পরবর্তী ২/৩ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করানোর আশ্বাসে সেদিন তারা ফিরে আসেন। কিন্তু ৪ দিনের মধ্যেও সাক্ষাৎ না পাওয়ায় শনিবার (১৫ জুলাই) থেকে ফের রাজপথের আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। এদিন ঢামেক হাসপাতালের সামনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময়- ‘ক্ষুধা পেটে সেবা নয়, অধিকার চাই ভিক্ষা নয়’, ‘অনুগ্রহ নয় অধিকার চাই, সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন কাঠামো চাই’, ‘আশ্বাস নয় প্রমাণ চাই, ৫০ হাজার ভাতা চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।