৪০ শতাংশ রোহিঙ্গা চর্মরোগে আক্রান্ত, ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এমএসএফ’র

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-07-13 11:54:07
৪০ শতাংশ রোহিঙ্গা চর্মরোগে আক্রান্ত, ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এমএসএফ’র

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প

কক্সবাজারের জনবহুল রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে আনুমানিক ৪০ শতাংশ বাসিন্দা স্ক্যাবিসে আক্রান্ত। কিছু কিছু ক্যাম্পে আক্রান্তের হার ৭০ শতাংশেরও বেশি। স্ক্যাবিসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স/সীমান্তবিহীন চিকিৎসক দল (এমএসএফ)।

চিকিৎসকদের মতে, স্ক্যাবিসের চিকিৎসা তুলনামূলক সহজ। তবে সময়মতো ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় গুরুতর শারীরিক ও মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে এটি।

সাধারণ চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে রোগীদের ত্বক, জামাকাপড় এবং ঘরে কিছু ওষুধ প্রয়োগ করা, যা স্ক্যাবিসের পরজীবীগুলোকে নির্মূল করতে পারে। এ পরজীবীগুলোই সংক্রমণের মূল কারণ। তবে এমএসএফ সতর্ক করছে যে এ রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে শুধুমাত্র ওষুধ যথেষ্ট হবে না এবং প্রয়োজন হবে প্রাদুর্ভাবের উৎস নির্মূল করা।

বাংলাদেশে এমএসএফ এর মিশন প্রধান কার্স্টেন নোকো বলেন, প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় ক্যাম্পে যথাযথ ওষুধের ব্যাপক বিতরণ সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।  তবে শুধুমাত্র ওষুধ প্রয়োগ করে এ রোগের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য জনবহুল ক্যাম্পের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ- মোকাবিলার ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ তাঁর। 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এমএসএফ টিম ক্রমবর্ধমান সংখ্যক ত্বকের নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছে। মার্চ ২০২২ এ যখন থেকে ক্যাম্পে স্ক্যাবিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, তখন থেকেই এমএসএফ উচ্চ সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু করে। এ বছরের (২০২৩) জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ক্যাম্পে এমএসএফ টিম প্রায় ৭০,০০০ রোগীর চিকিৎসা করেছে -যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

বাংলাদেশে মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স গত বছর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতি নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। এতে দেখা যায় যে ক্যাম্পের পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতি অনেক উদ্বেগজনক। যথাযথ স্যানিটেশনের অভাব এবং পর্যাপ্ত পানির স্বল্পতার কথা জানানো হয়। গত দুই বছরে যথেষ্ট পরিমাণে পানি ও স্যানিটেশন কাঠামোর উন্নয়ন হলেও সেগুলো ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি।  

নোকো আরও বলেন, খোস-পাঁচড়ার ৪০ শতাংশ হার একটি সতর্কবার্তা। যা আমাদের জানায় যে ক্যাম্পের স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা ঠিক নেই এবং এটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের কল্যাণকল্পে আরও হুমকি বা ঝুঁকি তৈরি করছে।


আরও দেখুন: