চিকিৎসকদের দাগী আসামির মত জেলে নেয়া ভাল লক্ষণ নয়
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ
গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. শাহজাদী ও মেডিকেল অফিসার ডা. মুনা সাহার বিরুদ্ধে যে অভিযোগে মামলা হয়েছে, তার তো কোন প্রমাণ নেই। এখন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত হবে, দোষী প্রমাণিত হলে তবেই শাস্তি। কিন্তু তার আগেই দাগী আসামির মত আটক করে জেলে নেয়া তো কোন ভাল লক্ষণ নয়। বিষয়টা তো যৌক্তিক মনে করতে পারছি না। বিএমডিসির তদন্তে দোষ ধরা পড়লে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল কিংবা স্থগিত হবে।
বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলা মুস্কিল। চিকিৎসায় কখনও কখনও অবহেলা বা ভুল হয়ে থাকে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণ সাপেক্ষে এর বিচার হওয়া দরকার। সারা দুনিয়াতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনায় কেবল অভিযোগের ভিত্তিতে দুজন মেয়ে ডাক্তারকে জেলে নেয়া হয়েছে। অনেকদিন হয়ে গেল, তাদের তো জামিন হতে পারে। এখন এই ঘটনার পর থেকে সারাদেশের ডাক্তাররা কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন। সঙ্গত কারণেই জটিল রোগীদের অন্যত্র রেফার্ড করা হচ্ছে। এতে কিন্তু রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে।
হাসপাতাল বন্ধ করে রেখেছে। ওটি, আইসিইউ বন্ধ রাখা হয়েছে। এসব তো কোন যৌক্তিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আরও অনেক চিকিৎসক সেখানে আছেন। অনেক জরুরি রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অবিলম্বে হাসপাতাল পুরোপুরি খুলে দেয়া উচিত।
সবকিছুরই জন্যই তো আইন আছে। আইন-বিধি মোতাবেক সব হতে হবে। সেন্ট্রাল হাসপাতালের এই ঘটনা তো চিকিৎসাজগতে প্রথম না, আবার শেষও না। ভবিষ্যতেও হতে পারে। বিএমডিসিসহ স্বাস্থ্যের সংশ্লিষ্ট তদারকি প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আবেগ অনুসারে বিচার ফয়সালা না করে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ এই সিনিয়র চিকিৎসকের।