নিজের চাকরি ও বেতন নিয়ে যা জানালেন সিএমইউ ভিসি
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খানের বিরুদ্ধে নিজের বেতন বাড়ানোর খবর প্রকাশ করেছে একটি জাতীয় গণমাধ্যম। ৩০ জুন নিজের ফেসবুক টাইম লাইনে এর জবাব দিয়েছেন ভিসি। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের চাকরি ও বেতন স্কেল সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন তিনি।
বিমূর্ত সূত্রের চেয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা অনেক মূল্যবান- এই শিরোনামে অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খানের ফেসবুক লেখাটি ডক্টর টিভির পাঠকদের জন্য নিচে হুবহু তুলে ধরা হল :
আমার বেতনের বেসিক ৭৮,০০০ টাকা, সেখানে জনাব সাংবাদিক সাহেব লিখেছেন বেসিক ৮৩,০০০ টাকা (যাহা বাংলাদেশের জাতীয় স্কেলে এরকম কোন বেসিকেই নাই।)
এইসব অপপ্রচারে রেসপন্স (response) করা উচিত নয়; তবুও শিক্ষক হিসাবে আমার অল্প কিছু হলেও শুভাকাঙ্খী আছে, তারা যাতে আমার শিক্ষক হিসাবে ইনটেগরিটি (integrity) এর প্রশ্নে ভুল না বুঝেন তাদের জন্যই লিখা।
@ সরকারী চাকুরীতে যোগদান: ১৯৮৪
@ সহকারী অধ্যাপক (চ. দা): ১৯৯৫
@ সহকারী অধ্যাপক (PSC Confirmed): ১৯৯৭
@ সহযোগী অধ্যাপক (চ. দা): ১৯৯৮
@ সহযোগী অধ্যাপক (confirmed by PSC): গ্রেড ৪: ২০০৮…
(সহকারী থেকে সহযোগী অধ্যাপক হতে লেগেছে ৩ বছরের স্থলে ১১ বছর। কেন সচেতন সবাই বুজতে পারবেন।)
@ অধ্যাপক: (গ্রেড ৩): SSB: ২০১২
@ অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ: ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ডিন, ঢাবি: ৭ বছর
@ উপাচার্য: (গ্রেড ২): ২০১৭: গ্রেড ৩ এর সাড়ে ৫ বছর পর (নিয়মানুযায়ী)
@ উপাচার্য: (গ্রেড ১): ২০২১ (নিয়মানুযায়ী)
(যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী শিক্ষকতার কমপক্ষে ২০ বছর দরকার, সেখানে আমার ৩৫ বছর) (গ্রেড ২ এর সাড়ে ৩ বছর পর)
অনিয়মের কোন কিছু……
সবক্ষেত্রেই Syndicate সম্পূর্ণ নিয়মানুযায়ী বেতন গ্রেড নির্ধারন করেছে।
এবং warrant of precedence অনুযায়ী সবার জানা কথা উপাচার্যের বেতন গ্রেড কত। তবুও উপাচার্য হিসাবে নিয়োগের পর পরই গ্রেড ১ না নিয়ে নিয়মানুযায়ী ধাপে ধাপে আমার গ্রেড নির্ধারিত হয়েছে।
কারোকে এই জঘন্য সংবাদ প্রচারে দায়ী করবোনা। তবে মিথ্যা প্রচারকার্যে যারা নিজেদের নিবেদিত রেখেছেন…. তারা চালিয়ে যাবেন তা জানি। ধন্যবাদ।