এসএমইউর সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) মো. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নাঈমুল হককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (এসএমইউ) সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) মো. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নাঈমুল হক দেশত্যাগ করতে পারবেন না। ২২ জুন (বৃহস্পতিবার) মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ একিউএম নাছির উদ্দিন এক রায়ে তাদের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। সূত্র : সিলেট টুডে।
রোববার (২৫) বিকেলে সিলেটে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান দুদকের মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আলী মর্জুজা কিবরিয়া। তিনি জানান, সিএমইউর সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক। প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে দুদকের পক্ষ থেকে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর নগরীর চৌহাট্টায় সিভিল সার্জন কার্যালয় সংলগ্ন ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ভিসি নিয়োগ দেয়া হয় এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীকে। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পান শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ) নাঈমুল হক।
দুদকের অভিযোগ, দায়িত্ব পাওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন লঙ্ঘন করে বিভিন্ন পদে অ্যাডহক ভিত্তিতে কর্মকর্তা নিয়োগ দেন ভিসি ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। এসএমইউ আইন অনুযায়ী, ইউজিসির অনুমোদিত পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের পূর্বানুমতির প্রয়োজন। এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভিসি ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অর্থের বিনিময়ে দেড় শতাধিক অ্যাডহক নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ দুদকের।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে মনোযোগ না দিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ইউজিসি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই তদন্তে ভিসি ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এরপর সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুদক।